রংপরের পীরগঞ্জে এক বিধবার একমাত্র প্রতিবন্ধী সন্তানকে জেল হাজতে পাঠিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রতিবন্ধী তার শেষ সম্বল এই জমি রক্ষায় আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারী করেও তার ওই জমি রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছে। উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহা সড়ক সংলগ্ন রামনাথপুর ইউনিয়নের খেদমতপুর গ্রামে ঘটছে এ ঘটনা। বিধবা রুপিয়া বেগমের আদালতে দায়েরকৃত মামলা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- বিধবা রুপিয়া বেগমের স্বামী সেকেন্দার আলী প্রায় ২০ বছর আগে মারা যাওয়ার পর তার একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলে আহসান হাবিব রঞ্জু মিয়া (৪০) ও পুত্রবধূ খাদিজাসহ তাদের সংসার। ওই গ্রামের ২২০৪ দাগে ২ একর ৬২ শতক জমির মধ্যে ওয়ারিশ ও কবলা মুলে ৬০ শতক জমির মালিক ছিলেন সেকেন্দার আলী। স্বামীর মৃত্যুর পর ওই ৬০ শতাংশ জমি নিয়েই সংসারের হালধরে অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে বিধবা রুপিয়ার সংসার চলাবস্থায় ঢাকা-রংপুর মহসড়ক সংলগ্ন ওই জমিটি মূল্যবান হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের দৃষ্টি পড়ে ওই জমির উপর। ফলে স্থানীয় মোশারফ হোসেন নামের ভূমি খেকো
একটি চক্র সংঘবন্ধ হয়ে রাতারাতি ওই জমির চারদিকে ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেললে অসহায় বিধবা রুপিয়া তার এই শেষ সম্বল জমি রক্ষায় আদালতের স্মরনাপন্ন হন। বিজ্ঞ আদালত গত ২৯ নভেম্বর ১৪৪ ধারা জারী করে। এরপর ওই চক্রটি তার একমাত্র প্রতিবন্ধী সন্তানকে একটি মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে উল্লিখিত বিধবাকে আরো নিরুপায় করে ফেলে এবং দিব্যি অসহায়ত্তের সুযোগ নিয়ে চক্রটি ওই জমির উপর বহুতল ভবন নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে বলে রুপিয়া স্থানীয় সাংবাদিক ও থানায় বারবার অভিযোগ করছেন। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরেস চন্দ্রের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- ওই জমির উপর আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারীর প্রেক্ষিতে উল্লিখিত মোশারফ গংকে ওই জমিতে সকল নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরেও রাতারাতি তারা নির্মাণ কাজ করছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।