ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘ভাষা অন্দোলনে সরাইল’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে সরাইল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আইয়ুব খান।
প্রেসক্লাবের সাহিত্য সম্পাদক জহিরূল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক সংসদ সদস্য সুলেখক অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল, সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, কবি সাংবাদিক মনির হোসেন, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বদর উদ্দিন, ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফ মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, মাহফুজ আলী, উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. সামছুল আলম, সমাজকর্মী সুমন পারভেজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান।
বক্তারা বলেন, ১৯৪৭ সালে তমুদ্দিন মজলিশ ও মুসলিম ছাত্রলীগের যুক্ত কমিটির আহবানে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। এর অংশ হিসেবে ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সরাইল থানা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক সভায় বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৯৪৮ সালের ৫ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ৭৪ বছর পরও এখনো বিষয়টি অনেকেই জানেন না। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে গত কয়েক বছর ধরে সরাইল প্রেসক্লাব আলোচনা সভার আয়োজন করে আরেকটি ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে। সভায় ঐতিহাসিক এই দিনটিকে ক্ষণজন্মা শিক্ষক নেতাদের জাতী ও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় করে রাখতে দুটি প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসক্লাবের সম্পাদক। একটি হচ্ছে উপজেলা সদরে ওই শিক্ষকদের নামে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ। আরেকটি হচ্ছে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের ব্যবস্থা করা।