নির্বাচনোত্তর সংহিসংতায় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সাবেক ও নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষের ১০জন আহত হয়েছে। মারাতœক আহত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ দুইজনকে রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার ( ২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার সময় উপজেলার জলিরপাড় বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রনি আহম্মেদ তার কিছু সংখ্যক লোকজন নিয়ে পার্শ্ববর্তী জলিরপাড় বাজারে যাওয়ার সময় একই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের নাতি সাগর রহমানসহ (২৫) তিনজন একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায় মারপিট শুরু হয়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। মারাতœক আহত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (৬০) ও তার ভাগিনী রাজিয়াকে (৩০) রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্য পক্ষের কুদ্দুস মোল্যা (৪২) নামে একজনকে ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের ভাই বাচ্চু শেখ জানান, নবনির্বাচিত রনি আহম্মেদ ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের লোকজনের উপর হামলা করেছে। আমরা এর বিচার চাই। এ দিকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রনি আহম্মেদ মুঠোফোনে জানান, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার লোকজনের উপর সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের লোকজন হামলা করেছে। এ হামলায় আমাদের সমর্থক মেহেদী হাসান ও কুদ্দুস মোল্যা নামে দুইজন আহত হয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে। তিনি আরও জানান কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।