বাগেরহাটের শরণখোলায় লবন পানি থেকে বোরো ধান রক্ষার জন্য ভোলা নদী সংলগ্ন ৬টি স্লুইজ গেটে তালা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অপরদিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীজ ও কীটনাশক এবং অবৈধভাবে খুচরা সার বিক্রির অপরাধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট মোঃ আজগর আলী ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মেসার্স রুবেল সিড হাউজের মালিক রুবেল হাওলাদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকল ব্যবসায়ীদের যথাযথ লাইসেন্স গ্রহণ করে ব্যবসা পরিচালনা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য দোকানে মজুদ ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেন।
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা মশিউল আলম জানায় আজ দুপুরে লবন পানি থেকে বোরো ধান রক্ষার জন্য ধানসাগর ইউনিয়নের ভোলা নদী সংলগ্ন ৬টি স্লুইজ গেট তালাবদ্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বোরো ধান ও ফসলি জমিতে যাতে লবন পানি প্রবেশ করতে না পারে এজন্য এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ওয়াসীম উদ্দীন, ধানসাগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মইনুল ইসলাম টিপু, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুল ইসলাম মনি, একদল পুলিশ ও এলাকার চাষিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ধানসাগর ইউনিয়নে প্রায় পাঁচশ চাষিকে চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষের জন্য সরকারি ভাবে বীজ ধান ও সার প্রদান করা হয়েছে। ঐ ইউনিয়নে একহাজার পাঁচশ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
এর আগে রায়েন্দা বাজারে মেসার্স রুবেল হাউজের মালিককের দোকানে অবৈধভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীজ ও কীটনাশক এবং অবৈধভাবে খুচরা সার বিক্রির অপরাধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট মোঃ আজগর আলী ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এ সময় কৃষি কর্মকর্তা, উপ সহকারী ও উদ্ভীদ সংক্ষণ কর্মকর্তা, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, রায়েন্দা বাজার কমিটির সেক্রেটারী মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।