ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের ভবন নির্মাণে অনিয়ম অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীন ভবনের কাজ খুবই নিম্নমানের করেছে মর্মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সরজমিনের কলেজের ভবন পরিদর্শন করেন এবং অভিযোগের সত্যতা পান। পরে ভবনের প্লাষ্টারসহ ঢালাইয়ের কাজ মেরামত করে দিবেন বলে কলেজ কর্তৃপক্ষকে আশ্বাস করা হয়।
জানা যায়,চাতলপাড়া ডিগ্রি কলেজের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর একটি একতলা নতুন ভবন নির্মাণ করছে। প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেসার্স আসাদ এন্টারপ্রাপইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ৩০ জানুয়ারী নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা থাকলেও কাজ শুরু করেন এ বছরের শুরুর দিকে। কাজের মেয়াদ শেষে হয়ে এক বছর পার হলেও নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। এরইমধ্যে কাজের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভবন নির্মাণে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারে বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওমর আলী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, একতলা ভবনের নির্মাণ কাজ খুবই নিম্নমানের হচ্ছে। ভবনের বিভিন্ন রুম ও বারান্দার ফ্লোরের ঢালাইয়ের পুরত্ব খুবই কম দেওয়া হয়েছে। ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সিমেন্ট। ভবনের প্লাষ্টারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের মাটিযুক্ত বালু। ছাদের সিলিং এ পলিথিন না উঠিয়ে প্লাষ্টার করা হচ্ছে। ভবনের সিঁড়ি, ছাঁদ এবং কলামের ঢালাইয়ে বাইব্রেটর টিকমত ব্যবহার না করায় বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে রডে মরিচা ধরে সম্পন্ন ভবনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভবনের ছাদের উপরের ঢালাই খুবই নিম্নমানের হয়েছে এবং সিমেন্ট কম দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার মো. আসাদ ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়,নির্মাণ শ্রমিকরা কাজে ফাঁকি দিয়েছে হয়ত। তবে প্লাষ্টার খসে পড়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চাতলপাড় কলেজ অধ্যক্ষ মো. ওমর আলী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীন ভবনের কাজ খুবই নিম্নমানের করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। বুধবার কলেজের ভবন নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সরজমিনে কলেজের ভবন পরিদর্শন করেন এবং অভিযোগের সত্যতা পান। পরে ভবনের প্লাষ্টারসহ ঢালাইয়ের কাজ মেরামত করে দিবেন বলে কলেজ কর্তৃপক্ষকে আশ্বাস করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, অভিযোগের কথা শুনেছি। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।