খুলনার পাইকগাছায় একই পরিবারের ২ প্রতিবন্ধিকে ঘর তৈরী করে দিলেন কে এফ ডি (খুলনা ফ্রেন্ডস ডেভলপমেন্ট) বন্ধু ফোরাম। প্রতিবন্ধির মা ঘর পেয়ে খুঁশিতে কেঁদে ফেলেন। উপজেলার রাড়-লী ইউনিয়নের কাঁঠিপাড়ায় ৪ সদস্যর একটি পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে ২ সদস্য প্রতিবন্ধি। গত ৩০ নভেম্বর উপজেলার লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন রাত ১১ টায় রাড়-লী ইউনিয়নের শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণের সময় জানতে পারেন কয়েকজন প্রতিবন্ধি ও বৃদ্ধ রাস্তার পাশে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন। তাৎক্ষণিক ওই রাতেই সেখানে চলে যান। সাথে নিয়ে যান শীতবস্ত্র ও কম্বল। জড়িয়ে দেন তাদের গায়ে। এ সময় তিনি দেখতে পান এক পরিবারের ৪ জন সদস্য রয়েছে তার মধ্য ২ জনই প্রতিবন্ধি। তিনি সে সময় বলেন তোমাদের ঘর তৈরী করে দিবো। তারই অংশ হিসাবে কে এফডি ৮৯ বন্ধু ফোরামের সহযোগীতায় চেয়ারম্যান তুহিন লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে বুধবার দুপুরে টিন, বাঁশ ও মিস্ত্রী নিয়ে প্রতিবন্ধিদের বাড়িতে হাজির হয়ে ঘর নির্মাণ করে দেন। ইতঃপূর্বে তিনি উপজেলা সহ পাশ^বর্তী উপজেলায় শতাধিক প্রতিবন্ধিকে হুইল চেয়ার, ২ হাজার অসহায় বৃদ্ধ, পাগল, ছিন্নমূলদের শীতবস্ত্র (কম্বল) ও দুই লক্ষটাকা ব্যয় করে কৃত্রিম পাঁ তৈরী করে দিয়েছেন। সে সাথে দিয়েছেন আর্থিক অনুদানও। তিনি বলেন আমি বড় নেতা নই, আর বড় নেতা হতেও চাইনা, আমার মহরম পিতার শান্তিকামনায় এসব দান করে যাচ্ছি। তার একটি প্রতিবন্ধি সংগঠন রয়েছে। তিনি তাদের সাথে মিলে মিশে তাদের সুখদুঃখের সাথি হয়ে ও সহযোগিতা করে যেতে চান। ছিন্নমূল, অসহায় মানুষের পাশে থেকে সেবা করা তার ধর্ম। গত ১৮ ডিসেম্বর তালা উপজেলা দুটি গ্রাম ও পাইকগাছা উপজেলা ৪ টি গ্রামে ২ শতাধিক শীতবস্ত্র দেন। ২০ ডিসেম্বর খুলনার আই ডবলু ঘাট, বড়বাজার, সোনাডাঙ্গা বাস ষ্টান্ড, ২৫০ শয্যা হাসপাতালে হত দরিদ্র রোগিদের শীতবস্ত্র (কম্বল) ও অর্থ দিয়েছেন। উল্লেখ্য তার পিতা ছিলেন লস্কর ইউনিয়নে ২ বার সফল চেয়ারম্যান। তিনিও এ ইউনিয়নে তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমার কাছে জাঁতি ধর্ম বলতে কিছুই নেই। মানুষ সেবাই আমার কাছে বড় ধর্ম। তার পিতা ও বড় ভাইয়ের আদর্শকে ধরে রেখে তিনি নিজের জীবনকে মানব সেবায় নিয়জিত করেছি। তিনি যত দিন বেচে থাকবেন ততদিন প্রতিবন্ধ অসহায়, ছিন্নমূল মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাবেন বলে ইচ্ছে ব্যক্ত করেন।