চলনবিল অধ্যুসিত সিংড়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৬ ডিসেম্বর। শেষ মূহুর্তে ১০টি ইউনিয়নের চা স্টল ও দুর্গম পল্লীর বাজারে গভীর রাত পর্যন্ত চোখে পড়ছে নির্বাচনী প্রচারণা। এর মধ্যে ৬টি ইউপিতে ভোটারদের মাঝে বিদ্রোহী ঘোড়ার সরগরম দেখা যাচ্ছে। আর ঘোড়া ঠেকাতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন নৌকার প্রার্থীরা। তবে যতই হিসাব নিকাশ কোষা হোক না কেন এই ৬টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা-ঘোড়া হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এটাই নিশ্চিত এমনটাই ধারনা ভোটারদের।
সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ডাহিয়া, কলম ও ছাতারদিঘী ইউনিয়নে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন পর পর দুইবারের নির্বাচিত তিন ইউপি চেয়ারম্যান। তারা হলেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এম.এম আবুল কালাম, মইনুল হক চুনু ও আলতাব হোসেন। এ ছাড়া লালোর ইউপিতে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী একরামুল হক শুভ। রামানন্দ খাজুরা ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেন ও চামারী ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান স্বপন। শেষ মূহুর্তে তৃনমূলের সাধারণ ভোটারদের মাঝে ঘোড়া প্রতীকের সরগরম দেখা যাচ্ছে।
এছাড়াও উপজেলার একমাত্র চৌগ্রামে নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলার শক্ত অবস্থান রয়েছে। সুকাশ ইউপিতে দ্বি-মূখী এবং তাজপুর ও হাতিয়ান্দহ ইউপিতে ত্রিমূখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সাধারণ ভোটারদের ধারণা। তবে শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী ও ভোটাররা।
আর ভোট সুষ্ঠ হওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে প্রশাসনের সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।