সপ্তাহকাল ধরে কুয়াশা বেড়েছে। সাথে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসছে হিমেল হাওয়া। সুর্য্যরে দেখা কমই মিলছে। তার সাথে এতে বেড়ে গেেেছ শীতের মাত্রা। কনকনে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার যমুনা নদীর তীর বেষ্টিত চর এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। শীতে সবচেয়ে কষ্টে দিন কাটছে ছিন্নমুল জনগোষ্ঠির।
উপজেলার পশ্চিমবাটি গ্রামের সউত্তোর উর্ধ্বো বয়সের ইসাহাক আলী ফকির জনান, শীতের মাত্রা কয়েকদিন ধরেই বেশি। ঠান্ডা বাতাসই শীতের প্রচন্ডতা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিকেল গড়ানোর আগেই কুয়াশায় ঢেকে যায় সবকিছু। কুয়াশার অন্ধকারে সড়কে যানবাহন চলছে ঝুকি নিয়ে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শীত তীব্র আকার ধারন করছে। ফাকা হয়ে আসে রাস্তা-ঘাট, পথ-প্রান্তর। এদিকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যমুনা বেষ্টিত চর এলাকার মানুষ। এখানে শীতের প্রচন্ডতা সবচেয়ে বেশি। ঠান্ডায় জমিতে কাজ তো দুরের কথা, ঘর থেকেই বের হওয়া সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানালেন, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন। চরের ছিন্নমুল শীত কাতর মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রয়েছেন। খড় কুটো জ¦ালিয়ে অনেককে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। চর এলাকা হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, শীতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় এ ইউনিয়নে গরম কাপড়ের চাহিদা থেকেই যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা ও ত্রান কর্মকর্তা মিঠুন কুন্ডুর বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।