দেশের পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করে, নিজেরাই পেঁয়াজ উৎপাদ করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান কৃষক বাদন্ধব সরকার। সারা বছর পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষে গ্রীষ্মকালীণ পেঁয়াজ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের পেঁয়াজের চাহিদা পূরণ করার লক্ষে ফরিদপুরে শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালীণ পেঁয়াজ বীজের চাষ।
শনিবার সকালে জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর মাঠে আদর্শ কৃষাণী শাহীদা বেগমের জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজের রোপনের উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
এসময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মনোজিত কুমার মল্লিক, উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. হজরত আলী, আদর্শ কৃষাণী শাহীদা বেগম, বৃষক বক্তার হোসেন খান, জেলা মার্কেটিং অফিসার মো. শাহাদত হোসেনসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আদর্শ কৃষাণী শাহীদা বেগম বলেন, বর্তমান সরকার আমাদের পাশে আছে দেখে আমরা সাধারণ কৃষকরা ভালো আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কৃষ মন্ত্রীমহোদয়ের সহযোগিতায় কৃষকরা এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে প্রথম এবং পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় অবস্থানে আছি। দেশকে পেয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষে আমরা নতুন করে সারা বছর (১২মাস) চাষ করা যায় সেই পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন শুরু করেছি। আশা করছি আমার উৎপাদিত বীজ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারবো এবং আগামীতে আমাদের আর অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না, আমরাই বিদেশে রপ্তানি করতে সক্ষম হবো।
বীজ রোপন উদ্বোধন কালে কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসাবে আজ কৃষক শাহীদা বেগমের ক্ষেতে গ্রীষ্মকালীণ পেঁয়াজ বীজের চাষ শুরু হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত বীজ আগামীতে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আমরা চাই পেঁয়াজ উৎপাদনে সয়ংসম্পূর্ণ হতে, আমরা আর অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে চাই না। আমরা সারা বছর যাতে পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারি সে লক্ষে আজ শাহীদা বেগমের জমিতে গ্রীষ্মকালীণ পেঁয়াজ বীজের চাষ শুরু করলাম।