চতুর্থ দফার ইউপি নির্বাচনে দিনাজপুরের তিন উপজেলার ২১ ইউপিতে ভোটগ্রহন চলছে। সকাল থেকেই শীত উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে ভিড় করছেন ভোটাররা। শীতের মধ্যেও বয়স্কদেরও ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসতে দেখা গেছে।
এদিকে, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে প্রশাসনের পক্ষ ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, কাহারোল ও খানসামা উপজেলার ২১ ইউনিয়নের ২০২টি কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
খানসামার গোয়ালডিহি ইউপির উত্তর দুবলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে শীতকে উপেক্ষা করে ভোট দিতে এসেছেন ৯২বছরের রমেশ চন্দ্র কর। এ সময় তিনি জানান, এই এলাকাতেই বাড়ী। আর কতদিন বাচমু। তাই ভোট দিলাম।
দিনাজপুরের সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. শাহীনুর ইসলাম প্রামাণিক জানান, চতুর্থ দফার ইউপি নির্বাচনে রোববার দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ৯টি, কাহারোলের ৬টি এবং খানসামার ৬টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণে স্থাপন করা হয়েছে ২০২টি কেন্দ্র। এই ২১টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ২৫৩ জন।
বীরগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়নে কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে ৯২টি। বীরগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৮জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৩০জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১৪ প্রার্থী।
কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৫৬ কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ। এই ৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩০জন, সাধারণ সদস্য পদে ২২৫জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬৭ জন।
খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের স্থাপন করা হয়েছে ৫৪টি কেন্দ্র। খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৬জন, সাধারণ সদস্য পদে ২২০জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭৪জন।
এদিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এই ভোটগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন অফিস। নির্বাচন চলাকালে প্রতিটি ইউনিয়নে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন অফিস।