চলমান উন্নয়ন কাজকে অধিকতর গ্রহনযোগ্য করা এবং দায়বোধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে স্টেকহোল্ডারদের সাথে ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির)র দিনব্যাপি সেমিনার সোমবার জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অধিদপ্তর প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ খান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ মহসিন ও আলী আখতার হোসেন জুুমমাধ্যমে যুক্ত হন। দিনব্যাপি সেমিনারে জেলার বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী, এলজিইডির তালিকাভ’ক্ত ঠিকাদার এবং ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলীসহ ঝিনাইদহ সদর, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপার উপজেলা প্রকৌশলীরা অংশগ্রহণ করেন।
“জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল” শিরোনামের সেমিনারে অংশগ্রহনকারি আলোচকরা জানান, দেশের সাধারন মানুষ অধিদপ্তরের চলমান কাজের পরিধি, বাজেট, প্রক্রিয়া ইত্যাদির কিছুই না জানার ফলে অনেকক্ষেত্রে প্রকল্প বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়, এলাকার মানুষের সাথে দ্বন্দ্ব ও দূরত্ব বাড়ে। সংবাদকর্মীরাও সঠিক তথ্য না পাবার ফলে বিভ্রান্তিতে পড়েন। এক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন অধিকাংশ ক্ষেত্রে লংঘন হয়। কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং তা অধিকতর গ্রহনযোগ্য করতে কাজের সাইটে প্রকল্পের স্থায়িত্বসহ বাজেট, শুরু এবং সেমাপ্তির তারিখ এবং কর্ম সম্পাদনকারি সংস্থার নাম ও যোগাযোগ ঠিকানা উল্লেখসহ যাবতীয় তথ্য টাঙিয়ে রাখা দরকার। তাছাড়া, প্রকৌশলীসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিয়ে কাজের যথাযথ মান অক্ষুন্ন রাখলে তা স্থায়ী হয় এবং জনদুর্ভোগ কমায় বলে আলোচকরা জানান। এক্ষত্রে স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ ওই কাজকে আরও গ্রহনযোগ্য করবে। প্রকল্প চলাকালে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো দরকার বলেও প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীদ্বয় অভিমত দেন।