জামালপুরের বকশীগঞ্জে কামালের বার্ত্তী মডেল সেসিপ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এইচ কবিরের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে কেবি মডেল সেসিপ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে নৌকার প্রচারনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের দ্বারা হামলার শিকার হন তিনি।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক,বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন,সাবেক প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান নান্নু, খেওয়াচর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী,মেরুরচর হাছেন আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম,ঘাসিরপাড়া রোকেয়া বেগম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন,কেবি মডেল সেসিপ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোকাম্মেল হক,সহকারী শিক্ষক মিনারুল ইসলাম,সহকারী শিক্ষক ইয়াসমীন আরা ও শিক্ষার্থী সুস্মিতা আক্তার সুচি প্রমুখ।
উল্লেখ্য,গত ২৫ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে সাধুরপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল আলম বাবুর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে কামালের বার্ত্তি এলাকায় হামলার শিকার হন এম এইচ কবির। এম এইচ কবির চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল আলম বাবুর সহোদর বড় ভাই। ওই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবীরের লোকজন রাতের আধাঁরে অতর্কিত ভাবে তার উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। এ সময় আরো ৭ জন আহত হয়। আহতরা বকশীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবীরসহ ১৭৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। ৫ জানুয়ারি এই ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।