গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক ও বেকার যুবকদের মোটা অংকের টাকা ঋণ দেয়ার নাম করে প্রায় কোটি টাকার সঞ্চয় উত্তোলন করে অফিসে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে আর.কে ফাউন্ডেশন নামের একটি কথিত এনজিও’র কর্মকর্তারা।
প্রতারনার স্বীকার হওয়া শতাধিক ব্যক্তিরা সবাই জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালে প্রতারণার স্বীকার গৌরনদী উপজেলার বাউরগাতি গ্রামের শওকত লস্কর, নন্দনপট্টি গ্রামের কামাল হাওলাদার ও রাজাপুর গ্রামের সুজন হাওলাদার, আগৈলঝাড়া উপজেলার চেংগুটিয়া গ্রামের অশোক মন্ডল, রাব্বি সরদারসহ একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, আর.কে ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও থেকে তাদের মোটা অংকের টাকা ঋণ দেয়ার নাম করে প্রতিজনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় উত্তোলন করেছে। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) তাদের মধ্যে ঋণ বিতরনের দিন ধার্য ছিলো। সে অনুযায়ী ঋণ গ্রহনের জন্য তারা খাঞ্জাপুর এলাকার ওই এনজিও’র কার্যালয়ে আসলে অফিস তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীতে ওই এনজিও’র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ তৌহিদুল ইসলামের ভিজিটিং কার্ডের (০১৯৫১-৩২২৫৪১) মোবাইল নম্বরে এবং শিশির নামের ফিল্ড অফিসারের (০১৯৬৬-৯৫৩৫৯৭) নম্বরে একাধিকবার ফোন করলে নম্বর বন্ধ থাকায় তারা প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন, প্রতারক চক্রটি যার ভবনের ভাড়াটিয়া ছিলো তারাও রহস্যজনক কারণে কোন প্রকার তথ্য না রেখেই এনজিও অফিস ভাড়া দিয়েছে। যার ফলে প্রতারক চক্রদের সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পরছে। কথিত এনজিও’র ভবন মালিক টুটুল হাওলাদারের শ্বশুর এচাহাক হাওলাদার বলেন, আমার মেয়ে জামাই প্রবাসে থাকায় আমি (এচাহাক) অফিসটি ভাড়া দিয়েছি। আগামী ১ জানুয়ারি ভাড়াটিয়াদের সকল কাগজপত্র দেয়ার কথা ছিলো। এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।