চট্টগ্রমের হাটহাজারীতে গরম পানিতে পড়ে দগ্ধ কাজিমুল হাবিব (৪) নামে এক শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীর থাকার তিন দিন পর গতবুধবার ভোরে মারা গেছে। সে বুড়িশ্চড় বাজার এলাকার প্রবাসী ইমরান হোসেনের পুত্র। গত রোববার কাজিমুল হাবিব গোছলের জন্য রান্না ঘরে রাখা গরম পানিতে পড়ে দগ্ধ হয়েছিল। দগ্ধ হওয়ার পর তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে চমেকে পরে সেখানে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্হানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত রোববার গোসলের জন্য রান্নাঘরে বালতিতে রাখা ছিল গরম পানি। কৌতূহলবশত চার বছরের শিশুটি সেই পানিতে হাত দিতে গেলে বালতিসহ গরম পানি ঘরের মেঝেতে পড়ে যায়। ফলে গরম পানিতে ঝলসে যায় তার পুরো শরীর।গরম পানিতে ঝলসে যাওয়ার সময় শিশুটির বাবা অন্য ঘরে ছিলেন। আর মা সৈয়দা তিশা আকতার ছিলেন শৌচাগারে। মাকে খুঁজতে শিশুটি রান্নাঘরে গিয়ে ছিল। সেখানেই গরম পানিতে তাঁর শরীরের ৩২ শতাংশ ঝলসে যায়।আহত অবস্থায় কাজিমুলকে চমেকে নিয়ে যায়।পরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা কাজিমুলকে গত বুধবার ভোরে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। গত বুধবার দুপুরে একমাত্র সন্তানের নিথর দেহ নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে এক হ্রদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়।আগামী জানুয়ারিতে কাজিমুলকে এলাকার জিয়াউল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিশু শ্রেণিতে ভর্তি করানোর কথা ছিল।
বুড়িশ্চর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদ হোসাইন এর সত্যতা নিশ্চিত করেন, এ সময় তিনি বলেন শীতকালে অনেকেই গরম পানিতে গোসল করেন। তবে বাড়িতে শিশু থাকলে পরিবারের সদস্যদের সতর্ক থাকা উচিত।