সৈয়দপুর উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে ১৩ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। উপজেলার ৫ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লড়েন ২৯ জন। চতুর্থ ধাপের এ নির্বাচন ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হাসিনা বেগম ভোট পেয়েছেন মাত্র ৯৩ টি। তিনিসহ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল কাশেম আলী, টেলিফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজ রেজার জামানত বাতিল হচ্ছে।
বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি প্রার্থী। এখানে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ৬ জন প্রার্থীর। এ ৬ জন প্রার্থী হলেন আবদুল হান্নান চৌধুরী আবু, জামায়াত নেতা খাদেমুল বসুনিয়া, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ওরফে রেজা চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল আলম বসুনিয়া ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম। বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৪ জন। তাদের মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন ১ জন। তিনি হলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত জামিনুল ইসলাম। তিনি হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৯৮ ভোট।
কাশিরাম ইউনিয়নের ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে কারো জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি। জামানত হারাচ্ছেন কামারপুকুর ইউনিয়নের ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন। তাদের মধ্যে ১ জন হলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম ভরসা, স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের মোজাহারুল ইসলাম ও হাতপাখা প্রতীকের সাজেদুল ইসলাম।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার রবিউল আলম জানান, মোট পোলিং ভোটের কমপক্ষে ৮ ভাগের এক ভাগ পেলে জামানতের টাকা ফেরত পান প্রার্থী। কিন্তু ২৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, তারা কেউ জামানত রক্ষা করার মতো ভোট পাননি।