বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ও আমাদের বর্তমান প্রজন্ম আগামী প্রজন্মের সাথে মেল বন্ধ ঘটানোর জন্য এবং ২০২১সালকে স্মরণীয় করে রাখতে “চলো হারাই শৈশবে”- শ্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার বিকালে ফরিদপুরের ধলার মোড়ে পদ্মা নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণিল ঘুড়ি উৎসব। বর্ণাঢ্য এই উৎসবে যোগ দেন হাজারো মানুষ।
আকাশে উড়ছে জাতীয় পতাকা, ড্রাগন, কংকাল, সাপ, স্টার, চিল. বাদুর, অক্টোপাস, বক্সসহ বাহারি রং ও আকৃতির ঘুড়ি। নীল আকাশকে বর্ণিল করে তোলা এই পদ্মার তীরে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষ। ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করেছে “ফরিদপুর সিটি পেইজ”। এতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দুই হাজার প্রতিযোগি বিভিন্ন আকৃতির ও রঙ্গের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেয়। আর এ উৎসব দেখতে পদ্মা নদীর তীড়ে জড়ো হয় বিভিন্ন বয়সের হাজারো দর্শনার্থী। বড়দের সঙ্গে ঘুড়ি উঠানো দেখতে আসে অনেক শিশু-কিশোররাও।
এই বর্নাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধন করেন, স্বাস্থ্য মস্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া। এসয় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
উৎসব শেষে শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ১০ জনকে পুরষ্কার দেয়া হয়। ঘুড়ি প্রেমিকরা দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেন।
আক্তরী জাহান ববি বলেন, অনেক ভাল লাগছে। ঘুড়ি উড়াচ্ছি, শৈশবে ফিরে গেছি মনে হচ্ছে। এধরনের আয়োজন মাঝে মাঝে হওয়া দরকার আছে। হাজারো মানুষের উপস্থিতিই মনে করে করিয়েদেয় বাঙ্গালী এতিহ্য প্রেমী।
উৎসবের আয়োজক এমদাদুল হাসান বলেন, বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ও আমাদের বর্তমান প্রজন্ম আগামী প্রজন্মের সাথে মেল বন্ধ ঘটানোর জন্য আমাদের আয়োজন। এই আয়োজনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মের মধ্যে মেল বন্ধন সৃষ্টি হবে। আমরা আমাদের ঐতিহ্যটাকে কতোটা ভালো বাসি, তার প্রমান আজকের এই উপস্থিতি। ৩০ থেকে ৪০ হাজার দর্শক উপভোগ করছে এ উৎসব। আসা করছি আগামীতেও এ উৎসব অব্যহত থাকবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ঘুড়ি উৎসবের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জেলা প্রশাসব সবসময় এ ধরনের উৎসবে পাশে থাকবে। আর এই ধলার মোড়টাকে একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত করা হবে। যাতে সারা বছর আমাদের ছেলে-মেয়েরা এখানে এসে সুন্দর সময় কাটাতে পারে।
উৎসবের উদ্বোধন করে স্বাস্থ্য মস্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, আমি অভিভুত! বলার ভাষা নেই। এ উৎসব ধেকে আমি আমার শৈশবে ফিরে গিয়েছি। ঘুড়ি উৎসব যে এত বড় হয় আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম। এখানে না আসলে আমার জীবনের সুন্দর একটি সময় মিস করতাম।