নওগাঁর পতœীতলায় কলেজের অধ্যক্ষ কর্ত্তৃক মো. আবদুর রশীদ নামে এক প্রভাষকের সাথে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই অভিযোগ উঠেছে উপজেলার চৌরাট শিবপুর বরেন্দ্র ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভুগি প্রভাষক আবদুর রশীদ ০৯ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকঅধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালকসহ পতœীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অনুলিপি প্রদান করেছেন।
প্রভাষক আবদুর রশীদের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, তিনি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মকিম উদ্দিনের ছেলে। চৌরাট শিবপুর বরেন্দ্র ডিগ্রী কলেজে ইসলাম শিক্ষা প্রভাষক পদে নিয়োগী পরীক্ষা ০৭/১০/২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। ওই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হলে ০৮/১০/২০১৫ তারিখে তাকে নিয়োগ পত্র প্রদান করা হয় যার স্মারক নং-চৌশিবক/নি-(৮৪) ১৫. নিয়োগ পত্রের প্রেক্ষিতে তিনি ১৯/১০/২০১৫ তারিখে চাকুরীতে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ০৭/১১/২০২১ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত ডিগী ৩য় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণ তালিকায় ২৪০ নং তালিকায় ইসলাম শিক্ষা প্রভাষক হিসাবে তাঁর নাম রয়েছে। যার এমটিও কোড-৮৩০৮০২৩২০১, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় অধিভুক্তি প্রাপ্তির স্মারক নং-০৭/র (৬৯৭)/জাঃবিঃ/কঃপঃ/২০২৩, তারিখ: ১৫/০৯/২০১৫ খ্রিঃ, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ-১২/০৩/২০১৫.
লিখিত অভিযোগে প্রভাষক আবদুর রশিদ আরো জানান, কলেজ অধ্যক্ষ অদ্যাবধি তাঁর বেতন-ভাতার কাগজপত্র প্রস্তুত না করিয়া অন্য কাউকে ওই পদে কৌশলে নিয়োগ প্রদানের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে তিনি চাকুরী হারানোর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি তাঁর নায্য বেতন-ভাতা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদানের জন্য মহাপরিচালকের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চৌরাট শিবপুর বরেন্দ্র ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ দিপক কুমার সরকার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আবদুর রশীদ ইসলাম শিক্ষা প্রভাষক পদে কলেজে চাকুরী করতেন এটা সত্য কিন্তু তিনি নিয়োগ পাওয়ার পর কয়েক মাস ক্লাস নেওয়ার পর আর কলেজে আসেননি। তাই তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে ওই পদে এখনও কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।