ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর হাসপাতাল মোড়ের একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধে গত ২৯ ডিসেম্বর এক পক্ষ আরেক পক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাতের অন্ধকারে ভেঙ্গে দেয়ার গুরুতর অভিযোগসহ এক সাপ্তাহিক পত্রিকার কর্মিকে মারপিঠ করায় ভুক্তভোগী মহল শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। বেলা ১২টার দিকে কোটচাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জমির মালিক সাফা ম-ল, ভাড়াটিয় ব্যবসায়ী সুকেশ কুমার ও আহত সংবাদ কর্মি রমজান আলী।
লিখিত বক্তব্যে সাফা ম-ল জানান- তার জমিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছরের পাকা বিল্ডিং দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একটিতে তিনি নিজে অলংকারের কাজ করেন অন্যটি শুকেশ কুমারের কাছে ভাড়া দেয়া রয়েছে। শুকেশ কুমার দীর্ঘ দিন ধরে ওখানে চা-সহ অন্যান্য খাবারের ব্যবসা করে সংসারের চাহিদা মেটান। হঠাৎ করে তার আপন চাচাতো ভাই তোয়াজ ম-ল তাকে জানান এ বিল্ডিং-এর পিছনের ওয়াল তার জমির উপর রয়েছে। বর্তমান ম্যাপে এটিই বলছে। এখন তোমার (সাফা ম-ল) বিল্ডিং-এর পিছনের ওয়াল ও ছাদ ফেঙ্গে ফেলা হবে। এ কথা জানতে পরে সাফা ম-ল ম্যাপ সংশোধনের একটি মামলা করেন আদালতে। সাফা ম-ল বলেন, আদালতে ম্যাপ সংশোধনের মামলার কথা শুনে তোয়াজ ম-ল ভোর রাতে তার বিল্ডিং-এর একাশং ভেঙ্গে ফেলেন। ভোরে খবর পেয়ে সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার কর্মি রমজান আলী ঘর ভাঙ্গার ছবি তুলতে গেলে তোয়াজ ম-ল ও তার ছেলে পারভেজ এবং ফারুক নামের একজন ভাড়াটিয়া গু-া রমজান আলীকে মারধোর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে এ সকল খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওয়াল ভাংগা বন্ধ করে দেয়। সাফা ম-ল অভিযোগ করেন, তার ভাড়াটিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলে ভিতরের জিনিষ পত্রের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে তোয়াজ ম-ল। তিনি বলেন, তোয়াজ ম-লের মেয়ে ও জামাই প্রসাশনের উচ্চ পর্যায়ে চাকুরী করায় তাদের করা (ভুক্ত ভোগী) মামলা পুলিশ নেয়নি। বরং তোয়াজ ম-লের করা চাঁদাবাজি মামলা পুলিশ আমলে নিয়ে তদন্ত করছে। আমরা কোন রকম পুলিশের সহযোগীতা চাইলেও পাচ্ছিনা। এদিকে সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার কর্মি রমজান আলী অভিযোগ করেন, পেশাগত কাজে ছবি তুলতে গেলে তোয়াজ ম-ল ও তার ছেলে পারভেজ এবং সন্ত্রাসী ফারুক তাকে প্রচ- মারধোর করে আহত করে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ পত্র জমা দিলেও পুলিশ নিয়মিত মামলা না নিয়ে সাধারণ ডাইরী করেছে। এদিকে আসামিরা নিয়মিত থানায় আসা যাওয়া করছে। অথচ মারধোরের পুরো ভিডিও ওসি সাহেবের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি সত্য। তবে এটি ৩২৩ ধারার মামলা। আমরা ইচ্ছা করলেই ব্যবস্থা দিতে পারিনা। অনুমতির জন্য আবেদনটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।