নওগাঁর মহাদেবপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় তিন দিনের ব্যবধানে চারটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে পুড়ে গেছে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত ভেকু মেশিনসহ কয়েকটি খড়ের পালা। ক্ষতি হয়েছে ২৬ লক্ষ টাকার মালামাল। নির্বাচন পরবর্তী ও ব্যবসায়ীক শত্রুতা থেকে এসব অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলা সদরের কুঞ্জবন বাজারের ব্যবসায়ী মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে আলম হোসেন অভিযোগ করেছেন যে, তার ব্যবসায়ীক শত্রুরা গত বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মাঠে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত ৩২ লক্ষ টাকা মূল্যের ভেকু মেশিনে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মেশিনটির ৮০ ভাগ পুড়ে যায়। ক্ষতির পরিমাণ ২৫ লক্ষ টাকার বেশি।
এই ইউনিয়নের পাঘা গ্রামের অছিম উদ্দিনের ছেলে আবুল কাশেম অভিযোগ করেন যে, একই দিন রাতে তার বাড়ির খলিয়ানে রাখা ৭ বিঘা জমির ধানের খড়ের পালায় দূর্বত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। তার পিতা রাত সাড়ে ১২টায় প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাড়ির বাইরে এলে আগুন জ¦লতে দেখেন। তার চিৎকারে গ্রামের লোকজন ঘুম থেকে উঠে এসে আগুন নেভান। এতে তাদের ৫০ হাজার টাকার খড় পুড়ে ছাঁই হয়।
এছাড়া এর দুদিন আগে মঙ্গলবার দুপুরে এই ইউনিয়নের বাচড়া গ্রামে মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিনের বাড়ির খলিয়ানে রাখা খড়ের পালায় কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। জানতে পেরে তা নেভানো হয়। এই দিন সন্ধ্যায় একই ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামে আবদুস ছালামের ছেলে নুর নবীর খড়ের পালায় আগুন দেয়া হয়। জানতে পেরে গ্রামের লোকেরা পাশের পুকুর থেকে পানি এনে আগুন নেভান। নুর নবী জানান, তিনি এই ইউনিয়নের আগের চেয়ারম্যান যিনি এবারও বিজয়ী হয়েছেন তার নির্বাচনী ক্যাম্প পরিচালনা করেন। রোববার ভোটের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার খলিয়ানে গ্রামের লোকজনের জন্য আলুঘাটি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। খাওয়া চলার সময় এই অগ্নিসংযোগ করা হয়।
চাঁন্দাশ ইউপির পুণরায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহমুদান নবী রিপন বলেন, নির্বাচনে হেরে তার প্রতিপক্ষরা তার কর্মী সমর্থকদের জেরবার করার জন্য এসব অগ্নিসংযোগ করেছে।
ভেকু মেশিনের মালিক আলম হোসেন জানান, অগ্নিসংযোগের ব্যাপারে তার ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষের নাম উল্লেখ করে মহাদেবপুর থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মহাদেবপুর থানার এসআই রায়হান আলম জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।