বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতিসংঘ মিশনে ১ নম্বরে আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এই ১ নম্বরে থাকাটাই প্রমাণ করে যে আমরা জাতিসংঘে অত্যন্ত ভাল পারফরমেন্স দেখিয়েছি। সেই কারণেই তার ধারাবাহিকতায় আমরা এক নম্বর স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীও বটে। তিনি কিন্তু সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর জন্য যা যা করণীয় সবকিছুই করছেন। আমাদের সার্বিক রিকোয়ারমেন্ট গুলোও আমরা পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর ভিশনটাই হলো যে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণে আমাদের আরো মনযোগি হতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীর যে সক্ষমতা দরকার সেটা আমরা বৃদ্ধি করছি। আমরা সেটা করে যাব। এটা একটা চলমান পক্রিয়া। রোববার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের দিঘীর পাড় এলাকায় সেনাবহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ ও মহড়া পরিদর্শনকালে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেন সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এর আগে তিনি সেখানে কুমিল্লা সেনাবাহিনীর ৩৫ ফিল্ড এম্বুলেন্সের আয়োজনে অনুষ্ঠিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এলাকার অসহায় দরিদ্র শীতার্থ ৪ শতাধিক নারী পুরূষের হাতে কম্বল ও খাদ্য সামগ্রি তুলে দেন। সকালের দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসের সেনাবাহিনীর সহায়তায় স্থানীয় ৫ শতাধিক নারী পুরূষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রোগীকে চিকিৎসার পাশাপাশি ঔষধও দেয়া হয়েছে। চোখের রোগীদের প্রদান করা হয়েছে চশমা। এ সময় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কুমিল্লার এরিয়া কমান্ডার মো. জাহাঙ্গীর হাসান, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি ও পিএসসি মেডিকেল ক্যাম্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। শীতের কম্বল হাতে পেয়ে আনোয়ার মিয়া (৫৫) ও জাহেদা বেগম (৫২) বলেন, সেনাবাহিনীও গরীব অসহায় মানুষকে শীতের কাপড় দেয়। এটা আগে জানতাম না। আজ জানলাম। মন থেকে দোয়া আসছে। কারণ অনেক দিন পর আজকের শীতের রাতে আরামে ঘুমাতে পারব।