কুমিল্লার হোমনায় আজ (৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার) থেকে স্কুল ও মাদ্রাসার ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১৮ বছেরের নিচের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হবে। আজ এবং কাল (মঙ্গলবার-বুধবার) দুই দিন উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছলাম সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা স্বাস্খ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানানো হয়, ্উপজেলার ২৮ স্কুল ও মাদ্রাসার মোট ১৭ হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থীকে এই টিকা দেওয়া হবে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১১টি এবং বেলা দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনটি এবং একইভাবে পরের দিন বাকী ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
প্রথম দিন মঙ্গলবার দুই শিফটে ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮ হাজার ৮২৬ জন শিক্ষার্থীকে এবং পরের দিন ৫ জানুয়ারি-বুধবার একই নিয়মে বাকী ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮ হাজার ৫০৪ জন শিক্ষার্থীকে এই টিকা দেওয়া হবে। ফাইজারের টিকা শীতাতম নিয়ন্ত্রিত কক্ষে দিতে হয় বলে শিক্ষার্থীদের জন্য উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষটিকে বাছাই করা হয়েছে; এর জন্য সেখানে ১০টি বুথ থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা বিশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দিতে হয় বলে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষকেই বাছাই করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছলাম সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের কোভিড ১৯ টিকাদানের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করছি সকল শিক্ষার্থীকেই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কোভিড-১৯ (ফাইজার-বায়োএনটেক) টিকাদানের মাধ্যমে এই কর্মসূচি সফলবাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
ইপিআই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. শেখ ফরিদ জানান, শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতি বুথে ৩ জন করে মোট ৩০ জন ভ্যাকসিনেটর টিকা প্রদান করবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রুহুল আমিন জানান, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১৮বছরের নিচে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কোভিড টিকাকার্ড নিশ্চিত করা হয়েছে।