দীর্ঘ ৮ বছর পর রংপুরের সদর উপজেলার কেরানীহাট এলাকায় গৃহবধু মরিয়ম বেগমকে গভীর রাতে ঘরে প্রবেশ করে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৫ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করে রায় প্রদান করা হয়েছে।
রংপুরের স্পেশাল জজ রেজাউল করিম মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষনার সময় ৫ আসামীর মধ্যে ৪ আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো এক আসামি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছে। তবে বিচারক পলাতক আসামি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ও ক্রোকি পরোয়ানার আদেশ দেন। গ্রেফতার হবার পর রায় কার্যকর করা হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সরকার পক্ষের আইনজিবী ,এপিপি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন ওরেঞ্জ জানান, ২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল রংপুর মহানগরীর কেরানীরহাট জগদিশপুর এলাকায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে রাত দুটার দিকে ঘরের বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করে সিরাজুল ইসলাম স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে উপযূপরি কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে খুনিরা। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধু মরিয়ম বেগমের স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ মরিয়ম বেগমকে হত্যার মুল কিলার হামিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করলে সে আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে পুলিশ আরো চার আসামীকে গ্রেফতার করে। এরা হলেন আতিয়ার রহমান, জাহিদুল ইসলাম, নুরল আমিন ও জাহাঙ্গীর আলম। পুলিশ তদন্ত শেষে ৫ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে।
দীর্ঘ ৮ বছর ধরে মামলাটি চলার পর ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক ৫ আসামীকে দোষি সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষনার পর আসামীদের কড়া পুলিশী পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়।