মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নে ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম সালাউদ্দিন মাস্টার নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় তার সমর্থকদের হামলায় আহত হয়েছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এখলাসুর রহমানের ৫জন সমর্থক। এ সময় অন্তত ৩টি গাড়িতে ভাঙচুর এবং ১০টি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনায় ইউনিয়নির চেয়ারম্যান এসএম সালাউদ্দিন মাস্টারসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ইমামপুর ও ভবেরচর ইউনিয়নেও।
আহরা হলেন, শাহ আলম (৪০),মিজানুর রহমান(৩৫),বারেক মিয়াজী (৪৫),দুলাল মিয়া(৫০),রূপা বেগম(৩২)। টেংগারচর ইউপির পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এখলাসুর রহমান বলেন, ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম সালাউদ্দিন মাস্টার এবং তিনি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গার চর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে তিনি এবং সালাউদ্দিন মাস্টার উভয়ে হেরেছেন। ভোটের হিসাবে তিনি দ্বিতীয় হয়েছে। তবে নির্বাচনে হারার কারণ হিসেবে সালাউদ্দিন মাস্টারের সর্মথকরা তাকে দায়ী করে আসছে। ফলাফল ঘোষণার পর থেকে তারা বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়েছিল। আজ ( বৃহস্পতিবার) ভোর ছয়টার দিকে সালাউদ্দিন মাস্টারের উপস্থিতিতে তার কয়েকশো সমর্থক হামলা চালায় তার বাড়ি ঘরের উপর। এ সময় তার বাড়িসহ তার অন্তত নয় সমর্থকদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত তার দুইটি প্রাইভেটকার এবং একটি মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা। এ সময় তাদের হামলায় আহত হয় তার ৫জন সমর্থক। আহতদের মধ্যে শাহ আলম এবং মিজানুর রহমানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে চিকিৎসক।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম সালাউদ্দিন মাস্টারসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের আটককৃতদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে হামলার ঘটনা ঘটেছে উপজেলাতে ইমামপুর এবং ভবেরচর ইউনিয়নেও। ষোলআনী গ্রামে ইমামপুর ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর ৬ সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর এবং ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর,সাত কাহনিয়া গ্রামের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তার হোসেনের ৪ সমর্থকের বাড়িঘরে ভাঙচুর করার খবর পাওয়া গেছে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।