চিরিরবন্দরে আলোকডিহি ইউনিয়নের গছাহার শাহপাড়া জরিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০২ নং কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষনাকে কেন্দ্র করে আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করেছে।
থানা সুত্রে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের দিন সন্ধা ৭ টার দিকে উপজেলার প্রিজাইডিং অফিসারের উপর স্থানীয় জনতা চড়াও হলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশ ৪ রাউন্ড গ্যাস সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। উত্তেজিত জনতার বিক্ষিপ্তভাবে ছোঁড়া ইটের টুকরোর আঘাতে ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ঘটনায় পুলিশের ৫ জন সদস্য ও ৩ জন স্থানীয় জনতা আহত হয়। এ ঘটনায় এএসআই বেলাল হোসেন বাদি হয়ে চিরিরবন্দর থানায় কেন্দ্র ভাংচুর, হামলা, গাড়ী ভাংচুর, ক্ষতিসাধন ইত্যাদি বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ৫, তাং-০৬-০১-২০২২।
থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার জানান, গত ৬ জানুয়ারী দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ওই মামলায় স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মামলার এজাহার ভূক্ত আসামি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি মির্জা লিয়াকত আলী বেগ লিটনসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ইছামতি ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রথমে স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা লিয়াকত আলী বেগ লিটনকে (মোটরসাইকেল) জয়ী ঘোষনা করে, পরবর্তিতে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ তাজ উদ্দিন শাহকে বিজয়ী ঘোষনা করলে স্থানীয় জনতা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। একই সময়ে প্রিজাইডিং অফিসার সন্ধা ৬ টার পর প্রথমে সদস্য প্রার্থী মোঃ জিকরুল হকের ফুটবল প্রতিককে জয়ী ঘোষনা করেন। পরবর্তিতে পুনঃগণনা করে আবদুর রশিদ এর মোরগ প্রতিককে জয়ী ঘোষনা করেন। এতে করে জিকরুল হকের সমর্থকরা আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ও পুরো এলাকা পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।