গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তের বছরের কিশোরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (০৭ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের খালেকের মোড় এলাকায় ফুলমিয়ার বাসা থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা ধার দেওয়া মোবাইল ফোন ফেরত না পেয়ে এই হত্যাকা- ঘটে থাকতে পারে।
নিহত কিশোরের নাম মারুফ মিয়া (১৩)। মারুফকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাহের মিয়া (১৯) নামের অপর এক কিশোরের বিরুদ্ধে। নিহত মারুফ শান্তিরাম ইউনিয়নের খালেকের মোড় এলাকার আনারুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় কছর আলী মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। অপরদিকে আসামি তাহের একই এলাকার ফুলমিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুল আজিজ বলেন, আজ থেকে প্রায় দুই মাস আগে ৫ম শ্রেণির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নিহত মারুফ দূর সর্ম্পকের ফুফাতো ভাই তাহের এর কাছে থেকে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ধার নেয়। এর কিছুদিন পর সেই ফোন নিয়ে ঢাকায় যায় মারুফের বাবা আনারুল ইসলাম। এরই জেরে মারুফকে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে যায় তাহের। সেখানে তাহেরের সাথে মারুফের বয়সী আরও দুজন ছিল। এরমধ্যে একজনের নাম আলমগীর (১৩)। সেসময় মোবাইল নিয়ে মারুফের সাথে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাহের মারুফের গলা টিপে ধরে হত্যা করে। এ দৃশ্য দেখে আলমগীর দৌঁড়ে এসে মারুফের বাড়ির সবাইকে বলে দেয়। পরে সেখানে গিয়ে মারুফের নিথর দেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মারুফের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেইসাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলমগীরকেও পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।