নীলফামারীর ডোমার জোড়াবাড়ী সিদ্দিকীয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার তিন পদে নিয়োগ পরীক্ষা ছিল ওই কেন্দ্রে। ৮ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় ওই নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু মাদ্রাসার দায়িত্বরত সুপার মকবুল হোসেন ও সভাপতি ময়নুল ইসলাম অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা না নিয়ে তা কৌশলে নিয়ে আসে সৈয়দপুর পোড়ার হাট সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসায়। এখানে পরীক্ষার্থীরা এসে পড়ে আর এক বিড়ম্বনায়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করতে থাকে কখন নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হবে। এরইমধ্যে সেখানে ঢাকা থেকে আসেন ডিজির প্রতিনিধি। কেন পরীক্ষা ডোমারে না হয়ে সৈয়দপুর টেনে আনা হল। আবার এখানে এসে কেন পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না এমন প্রশ্ন তুলেন ওই মাদ্রাসার কয়েকজন জমি দাতা পরিবারের সদস্য। তারা বলেন, মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতি যোগসাজস করে গোপনে সুপারের ছেলেকে নিয়োগ দেবে। অপরপাশে বাকি দুই পদের জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদেরকে দেয়া হবে নিয়োগ। এ নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে শুরু হয় হট্টগোল। এক পর্যায় সাংবাদিকরা কথা বলেন সুপারের সাথে। এ সময় ওই সুপার সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি। তিনি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাশ কেটে যান। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক। পরে অনিয়ম ঢাকতে সুপার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেন। আগামী বুধবার ওই পরীক্ষা ডোমারে নেয়া হবে এমন একটি সাদা কাগজে নোটিশ দেন। ওই নোটিশটিও বৈধ নয় বলে জানান অপর এক শিক্ষক।
এ ব্যাপারে নিরাপত্তা পদে আবেদনকারী রিজনিক আমিন জানান, আমি জয়পুরহাট থেকে এসেছি নিয়োগ পরীক্ষা দেয়ার জন্য। কিন্তু এখন সাড়ে ৪টা হল পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না।
এদিকে সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান, এখানে পরীক্ষা নেয়াটা হবে অনিয়ম। কারণ যেখানের নিয়োগ সেখানেই নেয়াটা নিয়ম। অর্থ গ্রহণ করে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে সভাপতি ময়নুল ইসলাম কোন জবাব দেননি।
তবে জমিদাতা পরিবারের কয়েকজন সদস্য জানান, ৩১ বছর থেকে সুপার মকবুল হোসেন নানা ধরনের অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। এবার তিনি নিজের ছেলেকে চাকুরী দেবে এমন ষড়যন্ত্র করে সভাপতির সাথে। তাই নিজ এলাকায় নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে সৈয়দপুরে নিয়ে আসে। আমরা ওই দুর্নীতিবাজ সুপারের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ডিজির প্রতিনিধি জানান, কোন ধরনের অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। পরীক্ষায় যারা প্রথম হবে তারাই নিয়োগ পাবে। সুপার যদি কার কাছ থেকে অর্থ নিয়ে থাকে আর তার যদি কোন প্রমান থাকে তাহলে ওই সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।