ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে শেরপুরে।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়রা পড়ানপুর
গ্রামে ৩০ বছরের ধারাবহিকতায় এলাকার যুব সমাজের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো
এবারও এ পৌষমেলার আয়োজন করা হয়।
পৌষমেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ‘গাঙ্গি’ খেলা (কুস্তি), মোড়গ লড়াই, মেয়েদের
চেয়ার খেলা, বিস্কুট দৌড়, লং জাম্প, বড়দের ৫০০ মিটার দৌড়, হাড়ি ভাঙ্গা,
গোলক নিক্ষেপ, সাইকেল রেস এবং ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে
পুরস্কার বিতরণ করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার। ওইসময়
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি মো. আজিজুল
হক ফকির, সাধারণ সম্পাদক আজাদ মিয়াসহ স্থানীয় ইউপি আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী এবং স্থানীয় সমাজসেবক উপস্থিত ছিলেন।
মেলায় বিভিন্ন পিঠা ও বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন মজাদার খাবারের দোকান
বসে। পাশের পালপাড়া এলাকার মৃৎশিল্পীদের সুনিপুণ হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের
খেলনা ও তৈজসপত্র ছাড়াও শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মেয়েদের প্রসাধনী ও
চুড়ি-মালা, গৃহস্থালি বিভিন্ন আসবাবপত্রের পসরাও সাজিয়ে বসেন দোকানীরা।
এছাড়া গ্রামীণ ঐতিহ্যের চিনির তৈরি সাজ, উরফা, কদমা, বাতাসা, নিমকি
কালাই, খুরমা, ঝুরি, মিষ্টি এবং বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের দোকানও বসে।
শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে
পৌষমেলা হয়ে উঠে জমজমাট ও প্রাণবন্ত।
রীতি অনুযায়ী মেলা চলে দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সন্ধ্যার পর রাত
৯ টা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে জেলা ও জেলার বাইরের শিল্পীদের নিয়ে
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গান পরিবেশন করেন শেরপুরের রিয়া মনি,
ঝিনাইগাতি উপজেলা কিশোরী বাউল শিল্পী মনি সরকার, নাহিন, শারমিনসহ
অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ। মেলায় গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শহরের
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় জমায়।