রাজধানীর সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি সুরভী-৯ লঞ্চে আগুন আতঙ্কে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা যাত্রীদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ সময় যাত্রীদের মারধরের ভিডিও চিত্র ধারন করতে গিয়ে দুই সাংবাদিককে হামলার শিকার হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বেলা এগারটার দিকে নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায়।
সুরভী-৯ লঞ্চের যাত্রী সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু জানান, শনিবার মধ্যরাতে বরিশালগামী সুরভী-৯ লঞ্চে আগুন আতঙ্কে যাত্রীরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চটি আটকে দেয় নৌ-পুলিশের সদস্যরা। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে লঞ্চে আগুন না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলে লঞ্চটি ছাড়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে লঞ্চটি বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করা মাত্রই সুজয় ও আবির কুন্ডু নামের দুই যাত্রীর উপর অতর্কিত হামলা চালায় লঞ্চের স্টাফরা।
চ্যানেল টুয়েন্টিফোর বরিশাল অফিসের ক্যামেরাম্যান রুহুল আমিন জানান, লঞ্চের যাত্রীদের মারধরের ভিডিও ধারন করতে গেলে লঞ্চের ম্যানেজার মিজানের নেতৃত্বে স্টাফরা তাকে ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান দেওয়ান মোহনকে পিটিয়ে আহত করে। লঞ্চের পরিচালক রেজিন-উল-কবির জানান, এ ঘটনায় ম্যানেজার মিজানকে ইতোমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বরিবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পাশাপাশি যাত্রীদের মারধরের ঘটনায় একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে।