দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। তাতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দ্রুত সংক্রমিত করছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। গত তিন সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যে প্রতিটি হাসপাতালে দ্বিগুণ হারে রোগী বেড়েছে। আইসিইউতেও রোগী বেড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আশঙ্কা যে কোনো মুহূর্তে করোনা ব্যাপক হারে আঘাত হানতে পারে। কারণ মহামারি করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে। আর ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর পরিবারের সবাই দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক চিকিৎসক পরিবারসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই কারণে চিকিৎসকরা হাসপাতালের আইসিইউতে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করছে। স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সামনে ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেয়া দেশগুলোই যেখানে করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে নাজুক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বাংলাদেশে তা ভয়াবহ আকার নিতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিনই হাসপাতালের আইসিইউ ও সাধারণ ওয়ার্ডে রোগী বাড়ছে। আগে যেখানে অস্থায়ী আইসিইউ ছিল সেগুলো গুছিয়ে রাখা হয়েছিল, এখন সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে চিকিৎসকরা ক্লান্ত। অনেক চিকিৎসকই আইসিইউ এবং কোভিড ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনে আগ্রহী নয়। তাদের যুক্তি, আগে দায়িত্ব পালনকালে চিকিৎসকরা পরিবার থেকে আলাদা থাকতো। কিন্তু এখন পরিবারের সাথে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের অন্যান্যরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ কারণেই চিকিৎসকদের মধ্যে করোনা চিকিৎসায় দায়িত্ব পালনে কিছুটা অনীহা রয়েছে।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই দেশে চাহিদার তুলনায় ডাক্তার-নার্স সঙ্কট রয়েছে। আর বর্তমানে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়লেও করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলায় এখনো হাসপাতালগুলো প্রস্তুত নয়। রোগী কমে যাওয়ায় করোনার বেডসংখ্যা কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখন নতুন করে শয্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আগের সংকট বিবেচনায় নিয়ে রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করারও চেষ্টা চলছে।