রাজশাহীর দুর্গাপুরের সেই আলোচিত আব্দুল্লাহ ফিড মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা প্রশাসন। আব্দুল্লাহ ফিড মিলের অন্তরালে অন্য কোম্পানীর নামে মানহীন ফিড উৎপাদন সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতারনার অভিযোগ তুলে জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে টনক নড়লো প্রশাসনের।
প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে ৯ জানুয়ারী রোববার সকালে আব্দুল্লাহ ফিড মিলে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালতের হিসাবরক্ষক ও উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির মনিরুল ইসলাম জানান, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে আব্দুল্লাহ ফিড মিলে অন্য কোম্পানীর ফিড উৎপাদন, ফিডের বস্তার লেবেলে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, ব্যাস নং, লট নং না থাকার অভিযোগে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিনদিনের কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভ দেবনাথ। ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট জরিমানার অর্থ প্রদানের মাধ্যমে কারাদ- থেকে অব্যাহতি নেন আব্দুল্লাহ ফিড মিলের ম্যানেজার।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম, ভ্রাম্যমান আদালতের হিসাবরক্ষক উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির মনিরুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তরের ক্ষেত্রসহকারী ও দুর্গাপুর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভ দেবনাথ বলেন, আব্দুল্লাহ ফিড মিলের কারখানায় অন্য কোম্পানীর ফিড উৎপাদন করা নিয়ম বর্হিভূত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সেই সাথে সরবাহের প্রস্তুতকৃত ফিডের বস্তার লেবেলে উৎপাদন, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, লট নং, ব্যাস নং কিছুই নেই। এই অনিয়মের অভিযোগে প্রথমবারের অপরাধের জন্য কঠোর হুসিয়ারীর মাধ্যমে সতর্ক করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন দিনের কারাদন্ডের রায় দেওয়া হয়। কোম্পানীর দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার জরিমানার অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট হতে অব্যাহতি নেন।