আমি আমার নিজ জেলার হত দরিদ্র-অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। অনেকের অনেক চাওয়া থাকে কিন্তু আমার কোন চাওয়া নেই কোন বিনিময় এর আশা নেই, সুযোগ পেলেই ছুটে চলে আসি ঢাকা থেকে নিজ জেলার নিজ গ্রামে। আমার নিজ উপার্জনের একটা অংশের মালিক এই জনপদের গরীব দুঃখী মানুষ গুলো, তাদের চাওয়া পাওয়া সবার আগে আমার কাছে। আমি জানি সমালোচনাকারীরা ও নিন্দুকেরা অনেক কথা বলতে চায় বা বলবে তাতে আমার কিছুই আসে যায় না। তারা এই অসহায় মানুষগুলোর জন্য না নিজেরা কিছু করবে না অন্যকে করতে দিবে। আমার মনের মধ্যে যখনই এইসব গরীব দুঃখী মানুষগুলোর মুখের ছবি যখনই চলে আসে তখনই ছুটে চলে আাসি তাদের সাহায্যার্থে কিছু করার জন্য, সারা জীবন আমি এভাবে এই জনপদের গরীব দুঃখী অসহায় মানুষদের পাশে এভাবেই নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যেতে চাই। আপনি জানেন আমার অতীত জীবন, অত্যান্ত দরিদ্র পরিবার থেকে খেয়ে না খেয়ে কত কষ্ট করে আমি আজকের এই অবস্থানে এসেছি, ক্ষুদার যে কি কষ্ট সেটা আমি জানি যখন দিনের পর দিন না খেয়ে কষ্ট করেছি সেসব দিনের কথা এখনও মনে পরলে চোখে জল এসে যায়, অনেকেই নিজের ভাগ্যের পরিবর্তনের সাথে সাথে অতীত ভুলে যায় কিন্তু আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার অতীত ভুলতেই চাইনা। অতীত কে আকড়ে ধরে সামনে এগিয়ে যেতে চাই এবং সেজন্যই আমি বারবার এই অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়াই, সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা করার চেস্টা করি। আমি জানি এটা পর্যাপ্ত নয় কিন্তু সাধ্যের মধ্যে থেকে যা যা করার আমি সবই করার চেস্টা করছি। একান্ত আলাপচালিতায় এমনই কথা গুলো বলছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর পরিচালক, টেকনো মিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বেঙ্গল ব্যাংকের পরিচালক সিআইপি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার এলাকার উন্নয়নে জন্য আজীবন কাজ করে যেতে চাই। তিনি বলেন ফরিদপুরের সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো হবে পদ্মা সেতুর উদ্ধোধনের মধ্যে দিয়ে। আর তখন থেকে আমি আমার নিজের এলাকায় মিল-কারখানা করবো। আমি এ এলাকায় মিল কারখানা করলে এখানকার মানুষের কর্মের সংস্থান হবে। এতে এলাকা উন্নত হবে যেমন, তেমনি বেকার ভাই-বোনদের কর্মের সংস্থান হবে। তিনি আরো বলেন আমাদের কাছে আপনাদের অধিকার আছে। এটা আপনাদের হক। আর আমিও আপনাদের জন্য কিছু করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।
এদিকে তার নিজ জেলা ফরিদপুরের মানুষের জন্য গত ১০ থেকে ১৫ বছর যাবত নিজ তহবিল থেকে অকাতরে মানুষকে সহযোগিতা করে চলছেন ড. যশোদা জীবন। তার কাছে দরিদ্র অসহায় মানুষ ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের স্কিল উন্নয়নে স্কুল-কলেজে কম্পিউটার ল্যাব, বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা, ক্রীড়া কর্মে অংশগ্রহণ সহ নানা ভাবে আর্থিক সহযোগিতা করে চলছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে তিনি ছুটে আসেন নিজ জেলা ফরিদপুরে। তার দানের কথা তুলনা করে জেলার বাসিন্দারা তাকে দানবীর বলে থাকেন।
এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের জেলার এক নেতা বলেন, তার মতো মানুষ হয়না। তার কাছে কোন ভালো কাজ নিয়ে গেলে কাউকে খালি হাতে ফিরতে হয়না। তার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তিনি মানুষের জন্য কিছু করতে চান। কোথাও কোন সমস্যার সৃস্টি হলে তিনি জানলেই দ্রুততার সাথে সমাধানের চেস্টা করেন। ছোট বেলায় আর্থিক কষ্টে মানুষ হওয়ায় তিনি অসহায় মানুষের কথা যতো ভালো ভাবে অনুধাবন করেন তা আর কেও করেন না। আমরা তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।
সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন অসাধারণ মানুষ জীবন দাদা। অনেকের অনেক চাওয়া পাওয়া থাকে তার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তিনি শুধু মানুষের জন্য কিছু করতে চান। এই সমস্ত ভালো কাজ করতে গিয়ে তাকে অনেক কথা তার শুনতে হয়। অনেকে তাকে বিভিন্ন দলে ভাগ করেন। আমরা ছোট বেলা থেকে তাকে চিনি। তাকে কোন দলে দেখেনি। তাকে শুধু মানুষের জন্য কিছু করতে দেখেছি। এমন মহৎ উদার মন মানুষিকতার মানুষ খুব কম দেখা যায় এ জগতে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাষ্টিজের পরিচালক আলহাজ¦ মোঃ খায়ের মিয়া বলেন, তাকে যত দেখি ততই অবাক হই। তিনি হিন্দু ধর্মালম্বী একজন মানুষ কিন্তু আমি তাকে কখনও হিন্দু হিসাবে দেখি নাই, আমি তাকে দেখি একজন মানুষ হিসাবে, তিনি মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার জন্যই সমান ভাবে কাজ করেন বা করতে চান, তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড বলে আমি মনে করি, তিনি সব সময় বলেন আমি আজ এই পজিশনে এসেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতার জন্য তাই আমি আমৃত্যু এর প্রতিদান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দিয়ে যাবো। আমি আর দাদা একই এলাকার মানুষ তিনি সব সময় সমস্ত ভালো কাজে আমাকে অনুপ্রাণিত করেন এবং বলেন “ দান করলে কখনও সম্পদ কমে না বরং বাড়ে সৃস্টিকর্তা কোন না কোনভাবে দান করলে সম্পদ বাড়িয়ে দেন” এজন্যই তিনি দু হাত খুলে মানুষকে দান করেন, আমি অত্যান্ত কাজে থেকে তাকে দেখি কি সাদামাটা জীবন তার, কোন অহমিকা নেই, সবার সাথে তিনি মিশতে পারেন একান্তভাবে এবং মানুষের মনের কথা বুঝতে পারেন, যে কোন মানুষকে খুব সহজেই আপন করে নিতে পারেন। তিনি এত বড় একজন মানুষ কিন্তু তার স্কুল জীবনের সহপাঠি যারা এখনও গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ তারাও তার সাথে তুই ভাষায় কথা বলেন এটা অতুলনীয় একটা বিষয়। আমি জীবন দাদার সর্বাজ্ঞীন মঙ্গল কামনা কনি।