আসন্ন ৭ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে
আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নামের তালিকাড স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থী বদলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মাইজবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মনোনয়ন বঞ্চিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বাহারুল আলম মজনু।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদির, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সরজুল ভুইয়া, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি শরাফ উদ্দিন, কৃষকলীগ সভাপতি আবুল কাসেম আকন্দ, ছাত্রলীগের ইউনিয়ন আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ।
বক্তব্যে আবু বাহারুল আলম মজনু জানান, তৃণমূলে আওয়ামীলগের সদস্য ও সমর্থকদের নিয়ে গত ১ জানুয়ারি বর্ধিত সভা করে সকলের সমর্থন নিয়ে নৌকার মনোনয়ন প্রার্থী বাছাই করা হয়। সভা শেষে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তালিকায় আমার নাম এক নাম্বারে রেখে রেজুলেশন করে একটি তালিকা উপজেলায় পাঠানো হয়। কিন্তু তৃণমূলের সমর্থনকে বাতিল করে সহ-সভাপতির স্বাক্ষার জাল করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী রফিকুল ইসলাম বুলবুল আরেকটি নতুন তালিকা করে আমার নাম এক নম্বর থেকে সরিয়ে দুই নম্বরে দিয়ে জেলায় ও কেন্দ্রে পাঠায়।
মজনু অভিযোগ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্থের বিনিময়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বির্তকীত লোকদের নৌকা প্রতীক বরাদ্দের জন্য কাজ করছেন। যা আমরা তৃণমূল নেতাকর্মী মেনে নিতে পারছি না। সে আরো বলেন, আমার দাদা ছিলেন চেয়ারম্যান, বাবা ছিলেন ২বারের চেয়ারম্যান বর্তমানে আমার সহোদর ভাই চেয়ারম্যান। তৃণমূলের লিখিত স্বাক্ষর বাদ দিয়ে জাল স্বাক্ষর দিয়ে নৌকা প্রতীকের জন্য নাম পাঠিয়েছেন। আমার মাইজবাগ ইউনিয়নবাসী এর বিচার চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুনাম নষ্ট করার জন্য এ রকম কাজ করছে একটি মহল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকল নেতৃবৃন্দ কাছে আকুল আবেদন এর সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সেই সাথে তৃণমূলে গ্রহণযোগ্য নেতাকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার দাবীও জানান তিনি।