বগুড়ার শেরপুরের সীমাবাড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে চঞ্চলকে সভাপতি না দেয়ায় ১০ জানুয়ারী সোমবার রাতে সম্মেলন কমিটির সমন্বয়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান গৌর দাস রায় চৌধুরীকে মারধর করেছে পদ বঞ্চিতরা।
জানা যায়, উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সম্মেলন বেটখোর উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আবদুল আলিম চঞ্চল সভাপতি পদ চায়। কিন্তু প্রক্রিয়া অনুসারে সে সভাপতি না হওয়ায় সম্মেলন চলাকালীন অবস্থায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাড. গোলাম ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববির সামনে সম্মেলন কমিটির সমন্বয়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান গৌর দাস রায় চৌধুরীকে মারধর করে বেটখোর গ্রামের আবদুর রশিদ তালুকদারের ছেলে মোঃ আবদুল আলিম চঞ্চল (৪৫), সেলিম তালুকদার (৫৮), শাহিন তালুকদার (৪০), আঃ ওহাব নান্নু (৫২)সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন ব্যাক্তি। পরে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা কর্মীরা এগিয়ে এসে তাদের বাধা দেয়। এ ঘটনায় সীমাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গৌরদাস রায় চৌধুরী গুরুতর আহত হন।
এ ব্যাপারে সম্মেলন কমিটির সমন্বয়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান গৌর দাস রায় চৌধুরী বলেন, আবদুল আলিম চঞ্চল সহ অন্যান্যরা নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করায় তাদের পক্ষে কেউ মতামত দেয়নি। সভাপতি পদ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চঞ্চলের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপর হামলা চালিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনায় কোন অভিযোগ আমি পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।