ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে কৃষকরা অভিনব ভাবে পদ্ধতিতে চাষ করছে অধিক লাভের আশায়। কৃষকরা এক ক্ষেতে দুই সবজি চাষ করে রিতিমতো সাড়া ফেলেছে পুরো এলাকায়। সাথী ফসল চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে বেশ কয়েক জন কৃষক। ঝিনাইদহ কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গান্না গ্রাম ও উপজেলার কাদিরকোল গ্রামে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে এই চাষ শুরু করেছে কৃষকরা।
পেপের সাথে সমন্বিত ভাবে বাধা কপিসহ বিভিন্ন ধরনের পেপের সাথে বাধাকপি চাষ করে কৃষকরা তিন মাসে বিঘা প্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত লাভ পাচ্ছে। বর্তমানে এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে সাড়া ফেলেছে। এ চাষ করতে অনেকে অতি উৎসাহি হয়ে পড়েছে। কৃষকরা বলছে এ চাষে লাভবান বেশি হওয়া যাচ্ছে। গান্না গ্রামের পেপে চাষী শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘ দিন যাবত প্রায় ৭০ বিঘা জমিতে পেপের চাষ করেন। পেপে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে প্রতিদিন। তিনি জানান, শীতকালে পেপের বাগানে পেপে গাছের পাতা কম থাকে। যার কারণে পেপে বাগানে প্রচুর পরিমানে রৌদ পাওয়া যায়। এ সময় তিনি পরিক্ষা মুলক ভাবে গত ২ বছর ধরে বাধা কপি চাষ শুরু করেন। প্রথম বছর ৬০ বিঘা থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা লাভ করেছিলেন। এবার তিনি ৮০ বিঘা জমির পেপের মধ্যে বাধা কপি লাগিয়েছেন। আশা করছেন প্রতি বিঘায় ১৫-২০ হাজার টাকা লাভ হবে।
পেপের মধ্যে বাধা কপি চাষে আলাদা কোন খরচ লাগেনা। বরং বিনা খরচেই তিন মাসে এখান থেকে অনেক টাকা লাভ করা। পেপের গাছ থেকে ১২ মাসই পেপে সংগ্রহ করা যায় এবং নভেম্বর থেকে ফেব্্রুয়ারী পর্যন্ত এই জমিতে কম খরচে বিঘা প্রতি ১৫/২০ হাজার টাকা অন্য ফসল পাওয়া যায়। কৃষক জাকির হোসেন জানান, এক বিঘা পেপে ক্ষেতে ৫ হাজার পিচ বাধা কপির চারা লাগানো যায়। প্রতি পিচ কপি যদি পাইকারী ৫ টাকা দরে বিক্রি করা যায় তাহলে ২৫ হাজার টাকা আয় হয় মাত্র ৩ মাসে। শুধুমাত্র বাধা কপির চারার খরচ হয়। তিনি জানান, পেপের জন্য যে সার ও ওষুধ দেওয়া হয় তাতেই এই সাথী ফসল চাষ হয়ে যায়। এটি একটি লাভ জনচাষ।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল করিম জানান, গান্না ইউনিয়নে অনেক কৃষক পেপে চাষ করেন। তবে পেপের জমি ভাল ব্যবহার করছেন এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক। অনেকে পেপের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে বাধা কপি, ধনিয়া, বেগুন, ভুট্টা চাষ শুরু করছেন। তিনি আরো জানান, এলাকার পেপে, কপিসহ অন্য ফসল মালয়েশিয়াতেও রফতানি করছে কৃষকরা।