নীলফামারীর সৈয়দপুরে সরকারী এক রেলওয়ে কোয়ার্টারে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে অনৈতিক কাজ। মান সন্মান রক্ষার্থে কেউ এ বিষয়ে কথা বলতো না। অনেকটা দেখেও না দেখার ভান করে চলতে হতো এলাকার মানুষকে। গত ১১ জানুয়ারি রসুলপুরের ওই কোয়ার্টারে স্কুল পোষাকসহ প্রবেশ করে দুইজন কম বয়সী মেয়ে। তাদেরকে ওই বাসায় প্রবেশ করতে দেখে এলাকার রাজু ও জাবেদ নামে দুইজন ওই বাসায় থাকা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাস করলে তিনি রেগে যান। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে দুই ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায় মোবাইল করে শহরের মুন্সিপাড়া থেকে বেশ কিছু লোককে ডেকে এনে এলাকায় তান্ডব সৃষ্ঠি করেন। এ সময় ভাড়া করা বাহিনী লাঠি দিয়ে এলোপাতারী রাজু ও জাবেদকে পেটাতে থাকে। এতে তাদের লাঠির আঘাতে রাজু ও জাবেদ নামে দুজনের মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকলে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ভাড়া করা বাহিনীদের ঘিরে ফেলে। এ অবস্থায় বাসার পিছনের দরজা দিয়ে ওই মেয়ে দুটিসহ ভাড়া করা বাহিনী সটকে পড়ে।
এলাকার লোকজন জানান,ওই বাসাটিতে অবৈধভাবে বাস করে আসছে এক ব্যক্তি। তিনি কি করেন তাও আমরা জানি না। তবে মাঝে মধ্যে ওই বাসায় বিভিন্ন মেয়ে মানুষ আসা-যাওয়া করতে দেখা যায়। মঙ্গলবার দুটি মেয়েকে ওই বাসায় প্রবেশ করতে দেখে এলাকার ছেলেরা এটি জিজ্ঞাস করছিল। আর এ অপরাধে তিনি এমন ঘটনা ঘটালেন।
বর্তমানে বাসা থেকে ওই ব্যক্তি পালিয়ে গেছে। সরকারী এ বাসাটি খালি অবস্থায় পড়ে আছে। যে কোন সময় এটি দখল হয়ে যেতে পারে বলে রসুলপুর এলাকার অনেকে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিল আনোয়ারুল ইসলাম মানিক বলেন, বিষয়টি আমার নজরে ছিল না।তাছাড়া ওই বাসায় এ ধরনের কাজ হয়ে থাকে কেউ আমাকে জানায়নি। ঘটনার বিষয়টি আমি লোকমুখে জানতে পেরে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি বাসায় তালাব্দ্ধ। বাসায় অবস্থারত ব্যক্তি কোথায় গেছে তা কেউ বলতে পারছে না। তবে তিনি যদি ফিরে আসেন তাহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্ঠা করবো।