এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারেনি রাজশাহী হাজী আবুল হোসেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (আর-হ্যাবিট) শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম রাফি। বর্তমানে ওই ছাত্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা। চিকিৎসকদের ঊদৃতি দিয়ে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে এ কথা জানিয়েছেন চিকিৎসাধীন রাফির ভাই সাব্বির। এর আগে রাজশাহীর নওদাপাড়া এলাকায় অবস্থিত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার টেকনোললজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফি শিক্ষকদের অপমাণ সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। শিক্ষার্থী রাফি পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা গ্রামের এক মাদরাসার শিক্ষক মো. রবিউল ইসলামের ছেলে।
রাফির ভাই সাব্বির বলেন, আমি ঢাকার একটি বেসরকারি ফার্মে কর্মরত। ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে এসেছি ছোট ভায়ের কাছে। এখানে আসার পর রাফির শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আমার ভাইয়ের শরীরে এখনো বিষ আছে। তবে চিকিৎসকরা রাফির শরীর থেকে বিষমুক্ত করতে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষমুক্ত হলেই তাকে শঙ্কামুক্ত হিসেবে ধরা যাবে।
রাফির বন্ধুদের উদৃতি দিয়ে ঘটনার বিষয়ে তার ভাই সাব্বির বলেন, গত রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে কলেজের মাসিক সভায় নিজেদের সমস্যার কথা বলায় উপ-বিভাগীয় প্রধান সাদিকুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রধান সাজ্জাদ আলীসহ কিছু শিক্ষক রাফিকে মারাত্মতভাবে অপমাণ অপদস্থ করেন। এরপর ঘটনাটির বিষয়ে অভিযোগ হিসেবে উপাধ্যক্ষকে জানায় রাফি। তখন অভিযোগের বিষয়ে উপাধ্যক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আমার বাবা-মাকে নিয়ে আরো অপমাণজনক কথাবার্তা বলেন। যে কারণে তাদের অপমান সহ্য করতে না পেরে মেসে ফিরে বিষপান করে রাফি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তবে বিষয়টি বুঝতে পেরে অসুস্থ অবস্থায় মেসের সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং আমাদেরকে মুঠোফোনের মাধ্যমে অবগত করেন।
ঘটনার বিষয়ে রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন জানান, বিষপান করার পর রাফির বন্ধুরা প্রথমে নওদাপাড়া ইসলামি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। তবে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে পড়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রামেক হাসপাতালে সোমবার (১০ জানুয়ারি) রেফার করেছেন। আমাদের এই হাসপাতালে ভর্তির পর রাফির শরীর থেকে বিষ পরিষ্কার করা হলেও অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকগণ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।