নীলফামারীর সৈয়দপুরে শপথ গ্রহনের পুর্বেই সরকারী কম্বল পেলেন নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য। এটি ঘটে সৈয়দপুর উপজেলার ১নং কামারপুকুর ইউনিয়নে। এটির কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে ক্ষোপের সৃষ্ঠি হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার মানুষের মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচনা। ইউপি সচিব কেমন করে এ ধরনের কাজ করলেন তা নিয়ে চলছে কানাঘুষা। আইনে কি এমন কোন বিধান আছে যে শপথ না নিয়েই সরকারী কোন সাহায্য সহযোগিতা নবনির্বাচিত ব্যক্তিরা পেতে পারেন। জানামতে গেজেট না হওয়া পর্যন্ত পুর্বের চেয়ারম্যান মেম্বাররাই দায়িত্ব পালন করবেন। নতুনরা শপথ নেয়ার পর দায়িত্বে আসবেন। কিন্তু এ
নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনেকটা নিজের মত করেই সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের সচিব মো. মোখছেদুল ইসলাম সরকারী কম্বল দিলেন নতুন নির্বাচিত সদস্যদের। ৩শ ৭০ পিস কম্বলের মধ্যে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারকে ১০ পিস, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারকে ১০ পিস কম্বলসহ নতুন ১২ জনকেই স্লিপ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মুরসালিন বলেন, সচিব মোখছেদুল চৌকিদার সাইফুলের মাধ্যমে ১০টি কম্বলের স্লিপ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সেগুলো আমি অসহায়দের মাঝে বিতরণও করেছি।
এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান বলেন, এখনও আমরা পুরাতনরাই দায়িত্বে আছি। নতুনরা এখনও শপথ বা দায়িত্ব বুঝে নেয়নি। এতে তারা কোনভাবেই বিতরণ, বিভাজন তথা কোনো প্রকার কার্যক্রমেই অংশ নিতে পারবেন না। অথচ ইউপি সচিব মোখছেদুল ইসলাম ঊর্ধ্বতন প্রশাসন ও আমাকে না জানিয়েই তাদের কম্বল দিয়েছেন। তিনি কেন এমন বেআইনি কাজ করেলেন আমার জানা নেই।
সচিব বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই কম্বলের স্লিপ বিতরণ করা হয়েছে। পুরাতনদেরই মূলত বেশি দিয়েছি। নতুন ৪ থেকে ৫ জনকে সম্মান করে কিছু দেয়া হয়েছে। এতে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় হয়েছে বলে মনে হয় না।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হুসাইন বলেন, পুরাতনদের মাধ্যমেই কম্বল বিতরণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও ইউপি সচিব নবনির্বাচিতদের দিয়ে থাকলে সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।