কারামুক্ত হয়ে জয়ের স্বাদ গ্রহণ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান। গ্রেফতার হওয়ার ৩৬ দিন পর সোমাবর রাজশাহীর দায়রা জজ আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেন। তিনি সন্ধ্যায় কারাগার থেকে বেরিয়ে নিজ এলাকা বাউসায় আসেন। পরের দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করতে গেলে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নূর মোহাম্মদ তুফানের আইনজীবী মমিনুল ইসলাম মামুন বলেন, সোমবার রাজশাহীর দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করা হলে বিচারক মীর শফিকুল ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসার পর সন্ধ্যায় তাকে মুক্তি দেন সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা। তিনি নিজ গ্রামে ফেরার পর বিজয়ের মালা গলায় পরিয়ে দেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ তুফান বাউসা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তাকে মনোনয়ন না দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিককে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। তার মনোনয়ন মানতে না পেরে বিদ্রোহী প্রার্থী হন তুফান। তারপর তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারে জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে চাপ দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত গত ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তুফানের টলটলিপাড়া বাউসার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় এলাকাবাসী ডাকাত সন্দেহে আওয়ামী লীগ নেতাদের ধরে গণপিটুনি দেয়। পরেরদিন ৫ ডিসেম্বর সকালে তুফান মামলা করতে বাঘা থানায় গেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। আদালত কয়েকদফা তার জামিন নামঞ্জুর করেন। ভোটের আগে তুফানকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। অবশেষে সোমবার আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেন।
২৬ ডিসেম্বার চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এদিকে নৌকার প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক পেয়েছেন ৫ হাজার ৪২৮ ভোট।
এ বিষয়ে কারামুক্ত চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান বলেন, আমি বাউসা ইউনিয়নবাসির কাছে কৃতজ্ঞ। আমার বিজয় ইউনিয়নের মেহনতী মানুষের বিজয়। আমি কারামুক্ত হয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনসাধারনের সাথে দেখা করতে গেলে ফুল দিয়ে সংবর্ধিত করেন।