পাবনার চাটমোহরে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম চলছে পুরোদমে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু একটি মাত্র কেন্দ্রে টিকা প্রদান করায় সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় শুরু হয়। ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের।
সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় বিশৃংখলাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হপ্রেতিনিয়ত। হাসাপাতালে বৃহস্পতিবার একই সাথে ৬ ধরণের টিকা প্রদান করা হয়। ফলে ভীড় সামাল দেয়া যাচ্ছে না। নেই স্বাস্থ্য বিধির বালাই। কেউই মানছে না সামাজিক দুরত্ব। মাস্ক পরিধান করছেনা অধিকাংশ মানুষ। টিকা নিতে এসে ভীড়ের কবলে পড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধির সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করতে এই বেসামাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এই অবস্থায় বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি অন্তত:পক্ষে ১০টি বুথ খোলা প্রয়োজন বলে বিশিষ্টজনরা মনে করছেন। লোকবল কম এবং এসি রূমের অভাবে বেশী পরিমাণ বুথ খোলা সম্ভব হচ্ছে না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এদিকে ভীড় ও টিকা গ্রহণকারীদের চেঁচামেতিতে হাসপাতালে সাধারণ চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ভর্তিকৃত ও আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বেসামাল হয়ে পড়ছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মগরেব আলী জানান,উপজেলার ৪০টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান,টিকা নিতে তাদেরকে চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। টিকা কেন্দ্র বাড়ানো হলে দূর্ভোগ কমতো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ ওমর ফারুক বুলবুল জানান,টিকা কেন্দ্র বাড়াতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু টিকা রাখতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ দরকার। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্র করা হয়েছে। তিনি জানান,এখন শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ চলছে। তাছাড়া অন্যান্য টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে।