নীলফামারীর সৈয়দপুরে বসতবাড়ীর পানি যাওয়া পাইপের মুখ বন্ধ করে দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ পরিবার। কেন পানির
পাইপের মুখ বন্ধ করা হল এমন প্রশ্নের উত্তর চাইতে গিয়ে উভয়ের মধ্যে বাঁধে ঝগড়া। এতে ফুলা, জখম হয় কয়েকজন। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪ জনকে বিবাদী করে সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়ের করে খোকন আলী নামে এক ব্যক্তি।
এটি ঘটেছে ১ জানুয়ারি উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ধলাগাছ গ্রামে।
অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের প্রায় ১৫ থেকে ২০ পরিবার তাদের বসতবাড়ীর গোসল খানার পানি পাইপের মাধ্যমে বের হয়ে গিয়ে পড়তো সরকারী ড্রেনে। কিন্তু হঠাৎ করে ওই পানির পাইপের মুখ লিমন সরকার বন্ধ করে দেয়। পানি নিস্কাশনের পাইপের মুখ বন্ধ করে দেয়ায় বর্তমানে ওই পরিবারগুলোর গোসলখানার পানি বের হতে না পাড়ায় তারা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। এলাকার সৈয়দ আলী, রবিউল, আনছার আলী,নজরুল ইসলাম, নুরুন্নাহার, আরমান আলী, রমজান আলী, খয়রুলসহ অনেকে জানায়, ওই সরকারী ড্রেনে তাদের বসতবাড়ীর পানি পাইপের মধ্য দিয়ে বের হয়ে যেত।
এলাকার লিমন সরকার এখন তা বন্ধ করে দেয়। ফলে গোসলখানার পানি নিস্কাশন নিয়ে আমরা পড়েছি চরম বিপাকে। বিষয়টির কোন সমাধান হচ্ছে না।
এ বিষয়ে লিমন সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরকারী ওই ড্রেনটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাছাড়া ড্রেন দিয়ে বসতবাড়ীর পানি গিয়ে পড়বে আমার আবাদি জমিতে। এতে করে আমার জমির ফসল নষ্ট হবে। আমি তাদের পানির মুখ বন্ধ করিনি। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছে।
মামলার বাদী খোকন আলী জানান,আমি তাদের অন্যায়কাজে বাঁধা দিলে লিমন সরকার, ফেরদৌস করিম কাজল, মেহেরুন নেছা, নিলা ও ফিরোজা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমাকে প্রাণনাশের হুমকী দেয়। তিনি আরও জানান গত ২৬ ডিসেম্বর সৈয়দপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। আর এ কারণেই তার ওপর ওই লিমন সরকার ক্ষিপ্ত। তাই তিনি সুবিচার পেতে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলা করে তিনি পড়েছেন বিপাকে।
বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমানকে তারা এ বিষয়টি জানালে তিনিও কোন পদক্ষেপ নেননি। কারণ তিনি ভোটে হেরে গেছেন বলে মনক্ষুন্ন।