গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রভাবশালী বালু দস্যুদের বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বাঁধা দিতে গেলে গ্রাম্য পুলিশ সদস্যকে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের নরেঙ্গাবাদ মৌজার ফকিরগঞ্জ বালু পয়েন্ট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় বালু দস্যুরা সংঘবব্ধভাবে গ্রাম্য পুলিশ শাকিল হোসেন ও হারুন অর রশিদের উপর চড়াও হয়ে মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা আহত দুই গ্রাম্য পুলিশকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় গ্রাম্য পুলিশ শাকিল হোসেন বাদী হয়ে মকুল গাছু, মান্না গাছু, শাহ আলম, মোত্তালিব, শাফি, দুলাল, মনি মিয়া, প্রদীপ কুমার মহন্ত, সুকুমার চন্দ্র মহন্ত, রেজাউল, গোলাম মাজেদ, জুহুরুলকে অভিযুক্ত করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এজাহার জমা দিয়েছে।
গ্রাম্য পুলিশ শাকিল হোসেন জানান, সন্ধ্যা থেকে সারারাত ধরে এমপিথ্রি ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে নরেঙ্গাবাদ মৌজাস্থ ফকিরগঞ্জ এলাকায় বালু উত্তোলন ও পরিবহন করায় রাস্তাঘাটগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে আমি সঙ্গীয় হারুন অর রশিদকে সাথে নিয়ে বালু পয়েন্টে বালু উত্তোলন ও পরিবহনে নিষেধ করি। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সংঘবদ্ধভাবে আমাদের টানা-হেচড়াসহ মারপিট করে মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়।
অপরদিকে চরের জমি থেকে বালু ও মাটি বিক্রি কাজে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে মান্নান গাছু বাদী হয়ে গ্রাম্য পুলিশ শাকিল হোসেন সহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার জমা দিয়েছে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছেন। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।