ভোটারদের ভোট দানের দীর্ঘ ২০ বছরের অপেক্ষার পালা শেষ। আজ রোববার যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে লড়াই হবে মোস্তফা আনোয়ার পাশা'র নৌকা প্রতীকের সাথে ইমরান হাসান সামাদ নিপুণ'র কম্পিউটার প্রতীকের। ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন শতভাগ প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। সকাল ৮ টাকা থেকে বিকাল ৪ টাকা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। দুপুরের মধ্যেই স্ব স্ব ভোটকেন্দ্রে পৌছে গেছে ইভিএম মেশিন।
২০ বছর ধরে চেয়ে আছেন ভোট দেয়ার অপেক্ষায়। আজ সেই ভোট দেয়ার আনন্দে ভাসছেন ঝিকরগাছা পৌরসভাবাসী। তাও আবার ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) এর মাধ্যমে ভোট দেবেন। গত শুক্রবার ৯ টি ওয়ার্ডে মক ভোটের মাধ্যমে ভোটারদের ভোট দেয়ার নিয়ম জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ভোটারদের আনন্দের মাত্রাও খুব বেশি।
গতি শুক্রবার ৯ নং ওয়ার্ডের প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ ছালাউদ্দিন জানান- ভোটারগন মক পদ্ধতিতে ভোট প্রদানের মাধ্যমে বুঝতে পারলেন, ইভিএম এ ভোট দেয়া সহজ হবে।
থানার ওসি সুমন ভক্ত বলেন, নির্বাচনের মাঠে পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার অপূর্ব কুমার বিশ্বাস এর নিকট ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন- ৯ টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।
পৌরসভার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে গ্রহনের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক বলেন - নির্বাচনের মাঠ শান্তিপূর্ণ রাখতে রাবের ৩ টি টিম,বিজিবির ২ প্লাটুন ও আনসার বাহিনীর একটা প্লাটুন সদস্য সার্বক্ষনিক দায়িত্বে থাকবেন। নির্বাচন সুষ্ঠ করতেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনায় পুলিশের কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত এ্যাডিশনাল এসপি সাইফুল ইসলাম বলেন - প্রতি কেন্দ্রে ১ জন ওসিসহ ১০ জন পুলিশ থাকবেন। এছাড়াও ২ জন এ্যাডিশনাল এসপি এবং ২ জন এএসপি আইনশৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে থাকবেন। ভোট শতভাগ নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন- ১৪ টি ভোট কেন্দ্রে ৮৬ টি বুথের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। শতভাগ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মোস্তফা আনোয়ার পাশা এবং ইমরান হাসান সামাদ এবং ছেলিমুল হোক সালাম সকলেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদী এবং প্রশাসনের ওপর আস্থাশীল। প্রত্যেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, কাউন্সিলর পদে ৬৪ ও নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের পাশাপাশি স্বতন্ত্রে বিএনপি ও বিদ্রোহী হিসেবে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
এ নির্বাচনে পৌরসভার ২৫ হাজার ৯ শ' ২৭ জন ভোটারের মধ্যে ১২ হাজার ৪ শ' ৭৫ জন পুরুষ এবং ১৩ হাজার ৪শ' ৫২ মহিলা ভোটার। পৌর পিতা হিসেবে কাকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বেছে নিবেন সেটাই এখন দেখার সময়।