পাবনার সুজানগরের চরাঞ্চলের জমিতে শীতকালীন টমেটো চাষ করে শতাধিক কৃষকের ভাগ্যবদলে গেছে। তাদের অভাবের সংসারে দেখা দিয়েছে সুখের হাসি। সেই সঙ্গে চরাঞ্চলের মানুষ ক্রমাগত টমেটো চাষে ঝুঁকছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাগরকান্দী, নাজিরগঞ্জ এবং ভায়না ইউনিয়নে রয়েছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। ওই সব চরাঞ্চলের জমিতে ধানপাট তেমন ভাল হয়না। বলতে গেলে কৃষকরা বেশিরভাগ সময় ওই সকল জমিতে ধানপাট আবাদ করে লোকসানে পড়েন। এতে তাদের সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয়। এরই একই পর্যায়ে ওই এলাকার শতাধিক কৃষক গত ২/৩বছর উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শক্রমে চরাঞ্চলের জমিতে মিন্টু সুপার এবং হিরো সুপারসহ বিভিন্ন জাতের শীতকালীন হাইব্রিড টমেটো চাষ করে আসছেন। এ বছর তারার ৪৫০হেক্টর জমিতে ওই টমেটো চাষ করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক সময় সার-বিষ দেওযায় অধিকাংশ জমিতে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার খলিলপুর গ্রামের টমেটো চাষী মাসুদ শেখ বলের প্রতি বিঘা জমিতে এ বছর ২৫০ থেকে ২৭০ মণ পর্যন্ত টমেটো উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে হাট-বাজারে টমেটোর বাজারও বেশ ভাল। ফলে উৎপাদন খরচের চেয়ে লাভ হচ্ছে অনেক বেশি। একই এলাকার টমেটো চাষী আমিনুল ইসলাম জানায়, গত ২/৩ বছর আগেও তার সংসারে অনেক অভাব-অনটন ছিল। কিন্তু তিনি গত ২/৩বছর ৪/৫বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করে লাভবান হওয়ায় তার সেই অভাব দূর হয়েছে। তিনি এখন পরিবারপরিজন নিয়ে সুখে আছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন শীতকালীন টমেটো চাষে খরচ কম লাভ বেশি। সেকারণে এ বছর উপজেলার শতাধিক কৃষক উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শক্রমে চরাঞ্চলের জমিতে টমেটো চাষ করেন এবং তা বিক্রি করে বেশ লাভবান হন। তাছাড়া ওই সকল কৃষকদের দেখা দেখি আরও অনেক কৃষক টমেটো চাষে ঝুঁকছেন বলেও তিনি জানান।