আশাশুনি সদরের সবদালপুরে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত রেকর্ডীয় ও ভোগদখলীয় ভিটেবাড়িতে খুনজখমের হুমকী দিয়ে জবর দখলের লক্ষ্যে ঘেরাবেড়া দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জমির মালিক ধ্রুব চক্রবর্ত্তীর স্ত্রী স্মৃতি রানী চক্রবর্ত্তী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, ধ্রুব চক্রবর্ত্তী সবদালপুর মৌজায় বাপ-দাদার ভোগদখলীয় ও বেকর্ডীয় জমিতে বংশ পরম্পরায় ঘরবাড়ি বেধে শান্তিপূূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছেন। সেখানে পুকুর, ঘেরাবেড়া, গাছগাছালী, রান্নাঘর, কাঠঘর সবকিছু রয়েছে তাদের। একই গ্রামের মৃত মনিমোহন চক্রবর্ত্তীর ছেলে কালিদাস ও কৃত্তিবাস, নকুল মন্ডণেলর ছেলে শ্মশান, মৃত শারদা সরকারের ছেলে চিত্তরঞ্জনসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন ধ্রুব চক্রবর্ত্তীর রেকর্ডীয় সম্পত্তি নিতান্ত গায়ের জোরে কবর দখল করার ষড়যন্ত্র করে আসছিল। এরই অংশ হিসাবে তাদের করা মিথ্যা মামলায় ধ্রুবকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার শালিস মিমাংসার করলেও প্রতিপক্ষ শালিস মিমাংসা অমান্য করে। তার অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি ভোর ৫.৩০ টার দিকে প্রতিপক্ষ দা, লাঠি, শাবলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ভিটেবাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে বাড়ির পুরাতন ঘেরাবেড়া ভেঙ্গে বাঁশ চটা দিয়ে নতুন করে ঘেরাবেড়া দিতে শুরু করে। বাধ্য হয়ে ধ্রুব’র স্ত্রী স্মৃতি রানী বাধা দিতে গেলে গলায় দা ধরে খুন জখম করার হুমকী দেওয়া হয়। অসহায় স্মৃতি রানী প্রতিবেশীদের নিয়ে বাধা দিতে গেলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জমির মালিকপক্ষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।