২০ ছবিতে অভিনয় করেও জায়েদ খানের ড্রাইভার সদস্যপদ পাননি। কারণ সদস্য হতে হলে অভিনয়শিল্পীর একটি মানদ- থাকে। তাই ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করলেই শিল্পী সমিতির সদস্যপদ পাওয়া যায় না- এমনটাই জানালেন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খান। আগামী ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে এফডিসিজুড়ে উত্তেজনা চলছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে এফডিসিতে জায়েদ খানের সঙ্গে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নানা বিষয়ে আলাপ হয়। এই নির্বাচনে ১৮৪ জন শিল্পী ভোট দিতে পারছেন না। তাদের পূর্ণাঙ্গ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য উচ্চ আদালত রুল জারি করেছেন। এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, 'আপনার প্রশ্নটাই ভুল, আসলে সংখ্যাটা ১৮৪ নয়। কত? সঙ্গে সঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সংখ্যাটা ১৩০-এর মতো হবে। আমি এক্স্যাক্ট ফিগারটা না দেখে বলতে পারব না। তবে ১৩০-এর আগে-পিছে হবে। আর ১৮৪ সংখ্যটা নিয়ে সবাই লাফালাফি করছে না জেনে। ১৮৪ জনের মধ্যে সদস্য হিসেবে আবেদনকারীও রয়েছে।' তার ড্রাইভারও ২০ ছবিতে অভিনয় করেছেন জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, 'সদস্য হওয়ার যোগ্যতা না থাকলে কিভাবে তাদের সদস্য করব? আমার ড্রাইভার তো ২০টি সিনেমায় গাড়ির দরজা খুলে দিয়েছে, তাহলে কি তাকেও সদস্য বানাব? এ রকম দরজা খুলে দেওয়ার মতো ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছে যারা, তাদের তো এখনই সদস্য করতে পারি না। নিয়ম আছে, সংবিধান অনুযায়ী তাঁদের সদস্যপদ দেওয়া হবে। ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীত প্যানেলে নির্বাচন করছেন এই অভিনেতা। ইলিয়াস কাঞ্চন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই সব শিল্পীকে ডেকে বলতে পারতেন, শিল্পী সমিতির দায়িত্ব নিতে চাই। তিনি সবাইকে ডেকে এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করলে কেউ তার বিপক্ষে নির্বাচন করত না। কিন্তু তিনি একটি প্যানেল বেছে নিলেন। তার মানে তিনি একটি পক্ষের হয়ে গেলেন। কাঞ্চন ভাইয়ের মতো মানুষের একটি পক্ষের হওয়া উচিত নয়। তিনি আমাদের গর্বের, সবার হওয়া উচিত ছিল।’ বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান পুরো প্যানেল নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে গিয়েছিলেন। এমনটাই জানিয়ে বলেন, আমাদের পুরো প্যানেল নিয়ে কাঞ্চন ভাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, ভাইয়া আপনি কারো পক্ষে গিয়ে কাজ করবেন না। আপনি ইলিয়াস কাঞ্চন সবার। কিন্তু তিনি আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমাদের নায়করাজ রাজ্জাক ভাই, জসিম ভাই, ওয়াসিম ভাই বেঁচে নেই। কয়েকজন আছেন, যারা সবাই অসুস্থ। নিয়মিতদের মধ্যে কাঞ্চন ভাই আছেন। তিনি আমাদের কাছে মোস্ট সিনিয়র এবং সম্মানিত ব্যক্তি। তাই কাঞ্চন ভাইয়ের একটি পক্ষ নিয়ে নির্বাচন করা উচিত হয়নি।’ এদিকে এফডিসিতে ক্রমাগত বহিরাগতদের প্রবেশ ঘটছে। এ প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খান বলেন, ‘শিল্পী নির্বাচনে শিল্পীরা আসবে। এ ছাড়া এফডিসিসংশ্লিষ্টরা কাজের জন্য এখানে আসবে। কিন্তু আসছে শত শত বহিরাগত মানুষ। এখানে এত বহিরাগতের আনাগোনা যে আমরা শিল্পীরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আজ এজন্য আমাদের প্যানেলের দুজন সিনিয়র শিল্পী সুচরিতা ও অঞ্জনা আপা এফডিসিতে আসতে গিয়ে বহিরাগতদের এত ভিড় শুনে রাস্তা থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে গেছেন। আর আমরা শিল্পীরা তো বহিরাগতদের জন্য এফডিসিতে হাঁটতেই পারছি না। এ অবস্থায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটারও আভাস পাচ্ছি।’ এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটি মিশা-জায়েদ প্যানেল। অপরটি ইলিয়াস কাঞ্চন নিপুণ প্যানেল।