চলচ্চিত্র শিল্পীর ১৮৪ জনের ভোটাধিকার হারানোর মধ্যে নিহত রাইমা ইসলাম শিমুও ছিলেন। জায়েদ খানের সঙ্গে একাধিকবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন শিমু। সোমবার রাতে শিমুর মরদেহ উদ্ধারের পর একাধিক শিল্পী হত্যাকা-ের পেছনে জায়েদ খানের হাত থাকতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে কয়েকটি টেলিভিশনের লাইভে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় শিমুর খোঁজ না পেয়ে জায়েদ খানের কাছেই ছুটে গিয়েছিলেন শিমুর ভাই খোকন। পরে জায়েদ খান সহযোগিতা করেন শিমুর খোঁজ পেতে। যদিও শিমুর পরিবার বলছে, জায়েদের বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। এই হত্যাকা- যাতে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা না হয়, সে কারণে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে অনুরোধ করেন শিমুর ছোট বোন ফাতিমা নিশা। এদিকে জায়েদ খান মঙ্গলবার সকালে বলেন, এরা সবখানে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। একটা হত্যাকা- ঘটেছে তার বিচার চাইবে কি সেটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আমাকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। আমি চাই প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করা হোক। সোমবার মধ্যরাতে নিশা বলেন, যারা আমার বোনকে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যে বা যারা এই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত তাদেরই বিচার হোক। পুলিশ সহযোগিতা করছে। আমরা শুধু সুষ্ঠু বিচার চাইছি। এদিকে পুলিশের কাছে শিমুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তার স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল। হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। রাতভর জেরার পর দায় স্বীকার করে নোবেল। কেরানীগঞ্জ হযরতপুর ব্রিজের পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সোমবার সকালে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। এদিন রাতেই শিমুর পরিবার মর্গে তার মরদেহ শনাক্ত করে। ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়। একে একে অভিনয় করেছেন ৫০টিরও বেশি নাটকে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও দর্শকরা তাকে পর্দায় পেয়েছে। ২৩টি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছিলেন বলে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে 'ফ্যামিলি ক্রাইসিস' নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ একটি বেসরকারি টিভিতে মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন। নাটকেও টুকটাক কাজ করতেন।