একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নারীরা এখনো দাসত্বের কাতারে পড়ে আছে। শৃঙ্খল ভাঙ্গার গান কেউ কেউ গাইলেও বর্তমান পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় বেশিরভাগ নারীরা নানা বৈষম্যের শিকার হয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে আছে। তবে এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকতায় নারীরা ঝুঁকি নিয়ে সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং নিজেদের অধিকার আদায়ে এগিয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়েছেন। তবে এ পথও এতোটা মসৃণ নয়। সাংবাদিকতায় নারীরা লিঙ্গ বৈষম্যসহ নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। অর্থনৈতিক নিরাপত্তার অভাব, সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, শোভন কর্মপরিবেশের অভাব, শ্রম আইন বাস্তবায়ন না হওয়া সাংবাদিকতা পেশায় নারীকে বাধাগ্রস্থ করছে বলে মনে করছেন নারী সাংবাদিক কর্মীরা। তবে নারী সাংবাদিকরা সংগঠনের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প কিছু নেই বলেও ভাবছেন তারা। আজ দৃকের আয়োজনে ময়মনসিংহ শাপলা ট্রেনিং একাডেমিতে ময়মনসিংহ বিভাগের নারী সাংবাদিকদের অভিজ্ঞতা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব অসংঙ্গ অসংগতি তুলে ধরেন নারী সাংবাদিকগণেরা। অভিজ্ঞতা বিনিময়ে একজন নারী সাংবাদিক জানান, সংবাদের উপর গুরুত্ব না দিয়ে মিডিয়া হাউজগুলো বিজ্ঞাপনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশী। নিয়োগপত্র না দিয়েই একই পত্রিকায় অনেক কে কার্ড দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন। বিজ্ঞাপন আনার পরেও সেখান থেকে কমিশনের জন্য কর্তৃপক্ষের পেছন পেছন ঘুরতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নারী সাংবাদিক কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, অনেক পুরুষ সহকর্মীদের অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দিলে বিভিন্ন মিথ্যে অভিযোগ ও বদনাম করে মামলা পর্যন্ত নিয়ে যায়, যা সত্যিই মানসিকভাবে আমাদের বিপর্যস্ত করে। নারী সাংবাদিকদের কথা বলার মতো তেমন প্ল্যার্টফর্ম ছিল না। বর্তমানে নারী সাংবাদিক সংঘ নাসাস এর মাধ্যমে আমরা সকলে আমাদের কথা তুলে ধরার করছি। আমাদের দাবী দাওয়া পেশ করছি।
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নারী সাংবাদিক সংঘ নাসাস এর আহ্বায়ক বাবলী আকন্দ, দৃক পিকচার লাইব্রেরি লিমিটেড এর ইকুয়ালিটি, ডাইভার্সিটি এ- কমিউনিকেশন্স অফিসার আমেনা নেয়ামত, ফটোগ্রাফার সুমন পাল হিমু, সিনিয়র সাংবাদিকসহ জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা থেকে আগত নারী সাংবাদিকবৃন্দ।