পিরোজপুরের কচা নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। জেলা শহর থেকে ভান্ডারিয়া ও মঠবাড়িয়া যাওয়ার পথে কচা নদীতে টগড়া-চলখালী এলাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাঝেমধ্যে ফেরি আটকে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৪টি রুটে যানবাহন চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। জানা গেছে, কচা নদীতে শুকনো মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় ও যথাযথ ড্রেজিং ব্যবস্থার অভাবে টগরা এলাকায় গত প্রায় ১০ বছর ধরে চর পড়তে শুরু করেছে। বর্তমানের ফেরিঘাট এলাকার ৪ কিলোমিটার উজানে বেকুটিয়া ফেরিঘাট নির্মিত হওয়ায় চরের অবস্থা আরও প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। শীত মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ায় ডুবোচর জেগে ওঠে। এতে প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীতে ফেরি আটকে যায়। ফলে ভোগান্তি হচ্ছে যাত্রীদের। একইসঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে সরকারি কাজ ও চিকিৎসাসেবা। ফেরির কর্মচারীরা জানান, শুকনা মৌসুমে ভাটির সময় নদীতে পানি কমে গেলে ডুবো চরে ফেরি আটকে পড়ে। এ সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীতে থাকতে হয়। ওই রুটের নিয়মিত যাত্রী মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার জানান, তিনি নিয়মিত নাজিরপুর থেকে এ পথে বাসে করে মঠবাড়িয়া যান বা মঠবাড়িয়া থেকে নাজিরপুর যান। মাঝে মধ্যে নদীতে ফেরি আটকে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ফেরির চালক মো. জালাল হোসেন জানান, শীত মৌসুমে প্রায়ই মাঝ নদীতে ফেরি আটকে যায়। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া রাতে এমন ঘটনা হলে নিজেদেরও দুর্ভোগের সীমা থাকে না। পিরোজপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, কচা নদীর নাব্যতা সংকটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, নাব্যতা সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।