মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে একাধিক মামলা ও চিহ্নত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী আসামি কে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে পুলিশের এক এসআই ও এক কনস্টেবল আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় জিতু রাঢ়ী ও লিটন নামে দুজন কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ৬জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭থেকে ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকেই পুলিশের ওপর হামলায় জড়িতদের ধরতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল ইসলাম ও গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে ইউনিয়নের জামালপুর ও বালুয়াকান্দি গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই জড়িতরা ঘা ঢাকা দেওয়ায় ওই দিন কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুর“ল হক জানান, অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করি অচিরেই জড়িতরা আইনের আওতায় আসবে।
থানা সুত্রে জানা যায়, গত ১৯ শে জানুয়ারী রাত ৮টার দিকে জামালপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১০ থেকে ১২ টি মামলার আসামি ফিরোজ কসাইয়ের ছেলে লিটন কে ২৫ পিছ ইয়াবাসহ ও বালুয়াকান্দি এলাকার মৃত হাফেজ রাঢীর ছেলে জিতু রাঢী কে গ্রেফতার করেন।
এসময় তাকে নিয়ে থানায় ফেরার সময় লিটনের স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের এসআই নুর“ল হক ও কনস্টেবল মুসা কে পিটিয়ে আহত করে আসামি লিটন ও জিতু রাঢ়ী কে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় রাতেই এসআই নুর“ল হক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। ৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত মোট ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি খুব দ্র“ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।