কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের সুতিবাজার লঞ্চঘাটে পন্টুন না থাকায় বছরের পর বছর যাত্রীদের কাদা পানিতে নেমে লঞ্চে উঠতে হচ্ছে। সেবা দেয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও যাত্রীদের নিয়মিত ইজারার টাকা পরিশোধ করে লঞ্চে যাতায়াত করতে হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, সুতিবাজার লঞ্চঘাট থেকে নিয়মিত খুলনা থেকে লঞ্চ আসা-যাওয়া করে। যোগাযোগের তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকায় এখানে যাতায়াতের শেষ ভরসা লঞ্চ কিংবা ট্রলার। কিন্তু প্রতিদিন শত শত যাত্রীর লঞ্চে উঠতে হয় প্রচুর কাদা আর হাঁটুসমান পানিতে নেমে। জানা গেছে, উপজেলার সুতিবাজার লঞ্চঘাট টি চলতি বছর খুলনা বি আই ডব্লিউ টি এ থেকে ৪০ হাজার টাকা রাজস্ব দিয়ে ইজারা গ্রহন করেন কয়রা সদরের কামরুল ইসলাম। তিনি সংবাদদাতা কে জানান এত টাকা রাজস্ব দিয়ে ঘাট কিনে এখন বিপদে আছি। কাদা পানিতে যাত্রিরা লঞ্চে উঠতে চায়না তার পরেও মালা মাল উঠা নামানো রয়েছে আরও সমস্যা। সুতী বাজারের ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন শুধু মহারাজপুর ইউনিয়নের লোকজন এই ঘাট দিয়ে চলাচল করেনা পাশ্ববর্তি কয়রা সদর ইউনিয়নের লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাঈদ মোল্যা বলেন, সুতিবাজার লঞ্চ ঘাটে পন্টুন না থাকায় কখনো হাঁটুসমান আবার কখনো কোমরসমান পানিতে নেমে লঞ্চ কিংবা ট্রলারে উঠতে হয় নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধদের। তিনি জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট সুতিবাজার লঞ্চঘাটে একটি পণ্টুনের ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। লঞ্চযাত্রী রমজন আলী বলেন, ‘সরকারিভাবে লঞ্চঘাট করা হলেও পল্টুন না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহতে হয় যাত্রীদের। ্ইজারা দেওয়ার আগেও হাঁটুসমান পানিতে নেমে আর কাদায় লঞ্চে উঠতে হতো, এখনো একই অবস্থা। দুর্ভোগ রয়েই গেছে। ‘ঘাট নির্মাণ করে তেমন কোনো লাভ হয়নি। তাই একটি পন্টুন হলে যাত্রীরা এ দুর্ভোগ থেকে একটু হলেও রেহায় পেত।